কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১১০ ধারা প্রয়োগ করা হবে : ঢাকা জেলা প্রশাসক

ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১১০ ধারার প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ।

রোববার (৫ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

কুখ্যাত ও অভ্যাসগত অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এই বিধানটির কার্যকর প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকার জেলা প্রশাসক। এ লক্ষ্যে, সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ এসব ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য চেয়ে জনসাধারণের প্রতি বিশেষ অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, কুখ্যাত এবং অভ্যাসগত অপরাধীদের অপরাধ থেকে বিরত রাখার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১১০ ধারায় বিধান রয়েছে। কিন্তু এই বিধানটির প্রয়োগ সচরাচর কম দেখা যায়। ঢাকা জেলা প্রশাসন অপরাধ প্রতিরোধে প্রয়োজনে এই বিধানের কার্যকর প্রয়োগ করবে।

জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদের কাছে যদি কোনো এলাকার কুখ্যাত এবং অভ্যাসগত অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য থাকে, যাদের শান্তিরক্ষার মুচলেকায় আবদ্ধ করে রাখলে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য তা সহায়ক হবে বলে মনে করেন, সে সব ব্যক্তির নাম, ঠিকানা এবং তাদের দ্বারা সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম-অন্যায়ের তথ্যসহ আমাকে (জেলা প্রশাসক) অথবা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানোর অনুরোধ রইলো।

ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, অনেক সময় নির্দিষ্ট প্রমাণের অভাবে বড় অপরাধী বা এলাকার ত্রাস সৃষ্টিকারীরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়। কিন্তু এলাকাবাসী তাদের অপকর্ম সম্পর্কে অবগত থাকে। ১১০ ধারার প্রয়োগের মাধ্যমে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ বা অভ্যাসগত অপরাধীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এটি অনেকটা প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের নীতিতে কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, ফৌজদারী কার্যবিধির ১১০ ধারা একটি নিবর্তনমূলক বা প্রতিরোধমূলক আইন। এই ধারার মূল উদ্দেশ্য হলো, অভ্যাসগত অপরাধীদের কোনো নির্দিষ্ট অপরাধের জন্য শাস্তি না দিয়ে, বরং ভবিষ্যতে যেন তারা কোনো অপরাধ করতে না পারে, তার জন্য তাদের কাছ থেকে ভালো আচরণের মুচলেকা নেওয়া। এই ধারার অধীনে অভ্যাসগত চোর, ডাকাত, দস্যু, অপহরণকারী, চাঁদাবাজ এবং সমাজে ত্রাস সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ম্যাজিস্ট্রেট উপযুক্ত প্রমাণসাপেক্ষে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এক বছরের জন্য শান্তিরক্ষার মুচলেকা প্রদানের আদেশ দিতে পারেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

থানায় চিতাবাঘের হানা, ঘাড় কামড়ে নিয়ে গেল পুলিশের কুকুর

সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

রক্তে জমা বিষাক্ত উপাদান কমাবে ঘরোয়া ৫ খাবার

প্রতিপক্ষের জালে বাংলাদেশ দিল ৫ গোল

বিজয়নগরে বহুতল ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

আমাকে ৩টি মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েও হাসিনার শখ মেটেনি : বাবর

ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোম

প্রাভা হেলথে বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন

নতুন ভবনের দাবি : কর্মচারীদের ফ্ল্যাটে রাত্রিযাপন ঢাবি শিক্ষার্থীদের

প্রতিদিনের শেভিংয়ের সঙ্গে বেশি বয়সে চোখের সমস্যার সম্পর্ক কতটুকু

১০

হাতি দিয়ে অভিনব কৌশলে চলছে চাঁদাবাজি

১১

সব ক্যাম্পাসে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ডাকসু ভিপির

১২

স্বপদে ফিরে বিদায় নিলেন ইমাম, মুসল্লিরা বলছেন ‘ইসলামের সৌন্দর্য’

১৩

নতুন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট চালুর ঘোষণা ফিফার

১৪

আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে : জামায়াত আমির

১৫

ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা এখন আপনার স্মার্টফোনেই

১৬

ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন

১৭

গুরুতর চোট পেয়েছেন শ্রদ্ধা কাপুর

১৮

নামের ভুলে কারাবন্দি, অতঃপর...

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাহউদ্দিন

২০
X