জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করার পর রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টা নাগাদ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সরে শহীদ মিনারের দিকে চলে যান শিক্ষকরা। এরপরই পল্টন থেকে কদম ফোয়ারামুখী রাস্তা উন্মুক্ত হয় এবং প্রেস ক্লাব এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
জানা গেছে, পুলিশ শিক্ষকদের সরানোর জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষকরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের কারণে শিক্ষকরা সাময়িকভাবে সরলেও পরবর্তীতে পুনরায় সেখানে জড়ো হন। মাইকে শিক্ষক নেতারা সবাইকে শান্তি বজায় রেখে একত্রিত থাকার নির্দেশ দেন।
এর আগে দুপুরে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে গেছেন অর্থ উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে আলোচনা করতে।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন আজিজী, যুগ্ম সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব মো. আবু তালেব সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন হেলালী, যুগ্ম সদস্য সচিব আশরাফুজ্জামান হানিফ, যুগ্ম সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন, যুগ্ম সদস্য সচিব তোফায়েল সরকার, যুগ্ম সদস্য সচিব শান্ত ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল্লাহ রাজু, যুগ্ম সদস্য সচিব প্রকৌশলী আবুল বাশার, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং আজিজুর রহমান আজম।
এর আগে, গত ১৩ আগস্ট একই দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল সংগঠনটি। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি এবং সর্বজনীন বদলির দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সময় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং বিভাগীয় শহরে শিক্ষক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন