বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) ‘বিজয়ের ৫৩ বছর’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবি'র সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. এস.এম. আনোয়ারা বেগম। উক্ত সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘ইআরডিএফবি’ এর সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান। প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় মাত্র ৫৩ বছরে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত বাংলাদেশ আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে, বস্ত্রশিল্পে, ওষুধশিল্পে, তথ্য ও প্রযুক্তিশিল্পে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলাসহ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নির্দেশ করে আমাদের প্রকৃত বিজয়। আমরা বীরের জাতি। রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। সুতরাং কারও রক্তচক্ষুকে ভয় না করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আসন্ন নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে তার নেতৃত্বে বিজয়ের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরেছেন। উন্নয়নের এমন কোনো দিক নেই যেখানে বাংলাদেশের পদচারণা হয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মঙ্গাপিড়িত বাংলাদেশে মঙ্গা এখন অতীতের বিষয়। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করার মাধ্যমে ক্ষুধার্ত ও দরিদ্র বাঙালি জনগোষ্ঠীর কাছে এখন তিন বেলা পেট ভরে ভাত খাওয়ার নামই বিজয়। এ বিজয় এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। সেজন্য শেখ হাসিনার ধারাবাহিকতা রক্ষা এখন প্রতিটি বাঙালির একান্ত কাম্য। যারা গণতন্ত্রের নামে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়ায়, এ দেশের জনগণ তাদের কখনো চায় না। সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, তরুণরাই বাংলাদেশের সম্পদ এবং আমাদের অহংকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তরুণরাই যুদ্ধ করে এ দেশের বিজয় নিশ্চিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ তরুণ সমাজকে সাথে নিয়ে যে নতুন যুগের, শান্তির যুগের, স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এবং ট্যানেলের যুগের শুরু করেছেন তার ধারাবাহিকতা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের এ তরুণ সমাজের। তরুণ সমাজকে শিক্ষা-দিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে ভোট দিয়ে এই তরুণ সমাজ শেখ হাসিনার বিজয় তথা বাঙালি জাতির বিজয়ের এ ধারা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিজয় উল্লাস করবে।
ইআরডিএফবি এর সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে বাঙালি জাতির বিজয় নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানের দোসররা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে তা ম্লান করে দিতে বহু অপপ্রচেষ্টা চালিয়েও সফল হয়নি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে। জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় বাঙালি জাতি সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি লাভের মাধ্যমে বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে সক্ষম হয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ইআরডিএফবি এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য ও ইআরডিএফবি এর সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান।
মন্তব্য করুন