ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের উদ্বোধন করেন।
এ সময় ঢাকাবাসীকে ০১৭০৯ ৯০০ ৮৮৮ নম্বরে ফোন দিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল বা লার্ভা সম্পর্কিত তথ্য জানাতে অনুরোধ করেন মেয়র। এ ছাড়াও করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বসবাসরত যে কোনো নাগরিক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফেসবুক পেজ (https://www.facebook.com/officialpage.dscc?mibextid=ZbWKwL)-এর মেসেঞ্জারেও এডিস মশার প্রজননস্থল বা লার্ভা সম্পর্কিত তথ্য কিংবা ছবি ও ভিডিও পাঠাতে পারেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ করা ডেঙ্গুরোগীর তালিকা অনুযায়ী রোগীর বাড়ির আঙিনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা, ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং মশক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকির লক্ষ্যে এই নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ২০২১ সাল থেকে আমরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমাদের এই কার্যক্রম তদারকি করে চলেছি। আমরা ২০২১ সালে এক মাসের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছিলাম। ২০২২ সালে যখন এটা বৃদ্ধি পেল তখন আমরা তা দুই মাসে বর্ধিত করে। ২০২২ সালে আমরা দেখেছি, এডিস মশার বিস্তৃতিটা আশ্বিন মাস পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে। সেজন্য ২০২৩ সালের কর্মপরিকল্পনায় আমরা তিন মাসব্যাপী এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারই ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছি। সূচি অনুযায়ী আমরা পহেলা শ্রাবণ থেকে থেকে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করলেও এবার সেদিন বন্ধ থাকায় আমরা তার দুদিন আগেই চালু করলাম।
জনগণ সচেতন হলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সুফল প্রতিফলিত হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনার আলোকে ৭৫টি ওয়ার্ডে এক হাজার ৪০ জন মশককর্মী মাঠপর্যায়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে এ কার্যক্রম সরাসরি (ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে) তদারকি করব। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা গত দুই বছরও সুফল পেয়েছি। এবারও আমরা সুফল পাব বলে আশাবাদী। তবে সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত কার্যক্রমের তদারকির পদ্ধতি উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমরা যে তালিকা পাই, সেই তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে আমরা ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানাগুলো চিহ্নিত করি। প্রথম পর্যায়ে আমরা সেই রোগীর ঠিকানা ও আবাসনের আশপাশের ৪০০ গজ এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে সেখানে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন