চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মিতু হত্যা মামলা : ফের জেরার মুখে তদন্ত কর্মকর্তা

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে জেরা অব্যাহত রেখেছেন আসামি বাবুল আক্তারের আইনজীবী।

বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে জেরা চলার পর বিচারক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন অবশিষ্ট জেরার জন্য আগামী ২৪ জুলাই দিন রাখেন।

এ মামলায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের পক্ষে অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানকে জেরা করেন।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, মামলায় কোনো কিছু আইডেন্টিফাই করতে গেলে সূত্রের প্রয়োজন হয়। এ মামলার সূত্র ছিল- যে হোন্ডা দিয়ে মিতুকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয় সেই হোন্ডাটি পাওয়া গেছে। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই হোন্ডার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ, সাক্ষী ও আসামি কোনোটাই করেননি।

‘জেরায় মামলার আইও বললেন, হোন্ডাটি শহিদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় ‘ যে লোকের কাছে বিক্রি করা হয় তার নাম মোরশেদ। আর যে হোন্ডার কাগজের মূল মালিক তার নামের সঙ্গে ঠিকানার নামে কোনো মিল নেই। তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি।’

‘মিতু খুন হওয়ার পর তার মোবাইলটি কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় চার মাস পর মোবাইলটি ভোলা থেকে উদ্ধার করা হয়। যার কাছ থেকে মোবাইল ও সিম পাওয়া যায় ওই লোককে আসামি হিসেবে আদালতে হাজির করা হয়নি। বলা হয় তিনি পেশায় রিকশাচালক। রাস্তায় মোবাইল ও সিম কুড়িয়ে পান। প্রশ্ন– এই চার মাস উনি কার সঙ্গে কথা বলেছে তার কোনো তথ্যই সংগ্রহ করা হয়নি। তিনি যে রিকশাচালক তার প্রমাণও উপস্থাপন করতে পারেনি।’

‘স্টেটমেন্টেও আইও বললেন, সিমটা উদ্ধার করা হয় ঘটনার চার মাস পরে। সিমটা খুঁজে পাওয়ার দু-তিনদিন পর থেকে সে সিমটি ব্যবহার করে আসছে। এক্ষেত্রে পুলিশের ডিউটি ছিল তাকে গ্রেপ্তার করার। অর্থাৎ, খুনি ধরা পড়লে তাকে ছেড়ে দেয়, তারপর আসামি খোঁজে।’

আদালতের পেশকার ওমর ফারুক মজুমদার বলেন, এই মামলায় মোট সাক্ষী ৯৭ জন। এ পর্যন্ত ৫২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুর রশীদ কালবেলাকে বলেন, বাবুল আক্তারের আইনজীবী আজকেও জেরা শেষ করতে পারেননি। ২৪ জুলাই নতুন দিন ধার্য করেছে আদালত।

তিনি আরও বলেন, তদন্তকারী অফিসার তদন্ত করতে গিয়ে যা খুঁজে পেয়েছেন তাই বলেছেন। তিনি তো মূল সাক্ষী না। বাবুল আক্তারের পরকীয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তাকে হাজার রকমের প্রশ্ন করা হয়েছে।

এর আগে ১ জুলাই দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল। ওইদিন মো. কামরুজ্জামানের জেরা অসমাপ্ত থাকায় গত ২ জুলাই দিন রাখা হয়। এদিনও জেরা শেষ না হওয়া ৩ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘুম থেকে উঠে আগে পানি খাবেন, না ব্রাশ করবেন—জানালেন চিকিৎসক

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশে ইন্টার্ন করার সুযোগ

পুয়ের্তো রিকোকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে আর্জেন্টিনার জয়

চীনকে ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ ভারতের

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

৩৫ বছর পর আজ চাকসুর ভোট

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বড় নিয়োগ

রাজস্থানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাসে আগুনে পুড়ে ২০ জনের মৃত্যু

১০

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক স্টাফ কলেজ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

১১

মার্কারের পরিবর্তে চক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে ডিবিএল সিরামিকস ‘টাইলচক’ 

১২

বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

১৩

হোয়াইটওয়াশ লজ্জায় বাংলাদেশ, একশও ছুঁতে পারলেন না মিরাজরা

১৪

হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

১৫

জাল সনদে ১৮ বছর শিক্ষকতা, জেনেও ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ

১৬

ইলিয়াস কাঞ্চনের অসুস্থতায় শাবনূরের আবেগঘন বার্তা

১৭

যুদ্ধের উসকানি দিয়ে শান্তির প্রতীক হওয়া যায় না, ট্রাম্পকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৮

বাবার সঙ্গে আলোর শেষ কথা—আমরা আটকে গেছি

১৯

লাইভে এসে সংসদ ভেঙে দিলেন পালিয়ে যাওয়া মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

২০
X