চট্টগ্রামের বোয়াখালীর কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সবুজ চক্রবর্তী অভিজিৎকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযানে নামে পুলিশ।
সবুজ চক্রবর্তী অভিজিৎ পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসেবে ২০২১ সালে যোগদান করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে সবুজ চক্রবর্তী এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। গত ৯ জুলাই সবুজের কোচিং সেন্টারের চার ছাত্রী এ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয় এলাকায়।
জানা গেছে, সবুজ বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকার সুবাদে বিদ্যালয়ের সামনের একটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে ক্যানভাস নামে একটি কোচিং সেন্টার খোলেন সবুজ। এছাড়া এর অদূরে চৌধুরী হাট এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে একা থাকার সুবাধে কোচিংয়ের নামে তার সঙ্গে ছাত্রীদের শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন। যদিও তিনি বিবাহিত বলে জানা গেছে।
ছাত্রীরা অভিযোগ দেওয়ার কথা জানতে পেরে সবুজ ওই দিনই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে তিনি গত বুধবার (১০ জুলাই) বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেখে জানা গেছে।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে সবুজের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
বোয়ালখালী থানার ওসি আছহাব উদ্দিন বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সবুজ চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন