চট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে মুহাম্মদ ফরিদ নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে চলে গোলাগুলির ঘটনা। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পথেরহাট বাজারে গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক আটটার দিকে দুই পক্ষ গোলাগুলিতে জড়ায়। এ সময় মুহাম্মদ ফরিদ নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ ফরিদ যুবদলের নেতা ছিলেন। তিনি একই উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের বদুমুন্সি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে প্রথমে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গোলাগুলিতে পুরো এলাকা নিস্তব্দ হয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় সব দোকানপাট। তবে কি কারণে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার রাতে গিয়াস গ্রুপ ও গোলাম আকবর খোন্দকার গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। এর আগেও দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা রয়েছে। তারা দুজনই বিএনপির নেতা। আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে গুলিবিদ্ধ ফরিদের পরিবার জানান, ওইদিন রাতে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থনকারী বারেক হাজির বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল্লাহর ছেলে মো. হাবিব, সমদ হাজির বাড়ির বাসিন্দা নুরুল আলমের ছেলে লোকমান (লাভলু), ২নং পালোয়ান পাড়ার বাসিন্দা অলি আহমদের ছেলে শাহা আলম, নিরামিস পাড়ার বাসিন্দা নুর মিয়ার ছেলে লোকমান, পালোয়ান পাড়ার বাসিন্দা কুদ্দুসের ছেলে রশিদ প্রমুখ মোটরসাইকেল বহরে ছিলেন। সেখান থেকে ফরিদকে গুলি করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান।
উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, সরকার পতনের বহু বছর পর এলাকায় এসেছি এসব দেখার জন্য। এসব ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে দ্রুত দলের ভেতরে সমাধান না হয় বা কঠোর হস্তক্ষেপ না করেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে বলেও মন্তব্য করেন নেতারা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাউজান থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান কালবেলাকে বলেন, স্থানীয়রা জানিয়েছেন দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার বিষয় সম্পর্কে জানা যায়নি। এখনো গুলিবিদ্ধ পরিবারের কেউ থানায় আসেননি।
যদিও ঘটনার দিন রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন রশিদ বলেছিলেন, গোলাগুলির ঘটনা সঠিক। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
মন্তব্য করুন