চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কর্মী খুনের নেপথ্যে হুন্ডি

উসমান সিকদার। ছবি : সংগৃহীত
উসমান সিকদার। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দরের কর্মচারী উসমান সিকদার খুনের ঘটনায় বের হচ্ছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর পেছনে নিহতের দুই সহকর্মীর নাম উঠে এসেছে। পুলিশের অভ্যন্তরীণ একটি সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন চারজন। ঘটনার আগে হুন্ডির ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে ওসমানের সঙ্গে তার প্রতিপক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়। যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে তারা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেননি।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, নিহত ওসমান সিকদার বিমানবন্দরকেন্দ্রিক চোরাচালান চক্রে জড়িত ছিলেন। চোরাচালানে জড়িত থাকার আলামত পেয়ে উসমানসহ আরও কয়েকজনকে শাহ আমানত থেকে সরিয়ে নিতে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে গত দুই মাসে একাধিক চিঠি দেয় শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বরাবরই ঊর্ধ্বতনদের ম্যানেজ করে তারা থেকে যান বহাল তবিয়তে। সম্প্রতি উসমানকে শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক ভবনে বদলি করা হলেও তিনি অকারণে ঘোরাফেরা করতে থাকেন টার্মিনাল ভবনে। যদিও সেখানে তার কোনো দায়িত্ব ছিল না।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উসমান সিকদারসহ সিভিল অ্যাভিয়েশনের বেশ কয়েকজন কর্মচারী বৈদেশিক মুদ্রা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি ওসমানের সঙ্গে ফটিকছড়ির বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। কথা ছিল উসমান রিয়ালগুলো নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাত্রীদের হাতে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু উসমান রিয়ালগুলো সেই যাত্রীদের দেননি। তিনি প্রচার করেন রিয়ালগুলো গোয়েন্দা পুলিশ ছিনিয়ে নিয়েছে।

পরে উসমানের কাছ থেকে রিয়ালগুলো ফেরত পেতে চাপ দিতে থাকে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে পিটিয়ে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে প্রতিপক্ষ। এরই ধারবাহিকতায় শাহ আমানত বিমানবন্দর সংলগ্ন লিংকরোড এলাকার একটি স্থানে নিয়ে তাকে পেটানো হয়। মারধরে অংশ নেয় চারজন। এই মারধরের একপর্যায়েই মারা যান উসমান সিকদার।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, ঘটনাটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাস্থলে তাদের একজনকে হাঁটাহাঁটি করতে দেখা গেছে। আরেকজন লেনদেনের বিষয়টি আগে থেকে জানতেন। তবে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত এটির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য নেওয়া যায় কিনা এজন্য আটক করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হলেন খালেকুজ্জামান চৌধুরী

নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যশোরে তরুণদের মধ্যে বেড়েছে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা

১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল

আরও ভয়ংকর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’

সারজিসের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন বৈষ্যমবিরোধীর সাবেক জেলা আহ্বায়ক

নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ও সিনেটের সম্মাননা পেল বিজিএমইএ

১০০ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডবের আশঙ্কা, বাতিল বিমান-ট্রেন চলাচল

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে এবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন মেসি

লাল চাদরে ঢাকা যেন গোমতী নদীর চর

১০

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাধর্মী ‘ক্রিটিক্যাল ইনসাইটস’-এর ৪র্থ সংখ্যা প্রকাশ

১১

তুরস্কের ফুটবলে অশনিসংকেত, ১৫২ রেফারি জড়িত জুয়ার সঙ্গে

১২

২০ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না মফিজের

১৩

খতিব মহিবুল্লাহ নিখোঁজের ঘটনাটি সাজানো নাটক

১৪

বিপুলসংখ্যক জামিন / তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি

১৫

প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ আকিজ বশির গ্রুপে চাকরির সুযোগ

১৬

বরফযুক্ত ইলিশে বাজার সয়লাব, টাটকাগুলো গেল কই?

১৭

লালবাগে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩

১৮

তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প, একাধিক ভবনধস

১৯

মায়ের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় ছোট্ট আরাফাত

২০
X