কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর গায়েবি ঋণ থেকে মুক্তি মিলছে অর্ধশত অসহায় মানুষের। ফলে আনন্দের বন্যা বইছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মান্দারিটোলার ভুক্তভোগী অর্ধশত অসহায় মানুষ ও স্থানীয়দের মাঝে।
ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে অর্ধ কোটি টাকার ঋণ। বাকি টাকাগুলো শর্তসাপেক্ষে খুব দ্রুত পরিশোধ করবে এই ঋণ কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড আহম্মেদ রহমান।
এর আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারিটোলা গ্রামের অর্ধশতাধিক অসহায় মানুষের নামে বাড়বকুণ্ড জনতা ব্যাংক শাখা থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ আসে। তাতেই যেন ওই অসহায় মানুষদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
এমন তথ্য পেয়ে অনুসন্ধানে নামে কালবেলা প্রতিবেদক। পরে তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ‘গরিবের ঘাড়ে কোটি টাকার গায়েবি ঋণ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় কালবেলায়। তাতেই টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও জনতা ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদাকত মিয়াজি কালবেলাকে বলেন, কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পরে তদন্তসাপেক্ষে জানতে পারি, এই ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে আহমেদুর রহমানসহ ব্যাংক কর্মকর্তা জড়িত। করোনা মহামারির সময় খুব গরিব কিছু লোককে টার্গেট করে বিভিন্ন প্রণোদনার কথা বলে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন অবস্থিত জনতা ব্যাংকে প্রায় অর্ধশত অ্যাকাউন্ট খুলেন এবং প্রতিটি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে দুই থেকে তিনটি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ঋণ নেন আহমেদুর রহমান। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ঋণ শোধ করা হয়েছে। বাকি টাকাগুলো খুব দ্রুত আহম্মেদ রহমান পরিশোধ করবে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি মাসিক পর্যালোচনা সভায় উপস্থাপন করা হলেও এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তারপরও যদি স্থানীয়রা আইনি সহায়তা চায়, তাহলে সর্বোচ্চ আইনের সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন