মালিকের নির্দেশনা ব্যাংকে জমা দিতে হবে ১১ লাখ ১২ হাজার টাকা। কিন্তু সেই টাকা জমা না দিয়ে দোকানের কর্মচারী মো. এমরানুল হক (২৪) ছক আঁকে আত্মসাতের। বুদ্ধি করেন চক্রের আরেক সদস্য রানা বৈদ্যের (৪৭) সঙ্গে। দুজন মিলে কিনবেন একটি ‘তক্ষক’। করবেন ব্যবসা। কিন্তু তাদের পরিকল্পায় গুড়ে বালি। বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন দোকান মালিক। পরে অভিযানে দোকান কর্মচারীসহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টায় কক্সবাজারের চকরিয়া থানার পুকুরিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার গারাংগিয়া দক্ষিণ হাতিয়ারকূল এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে দোকান কর্মচারী মো. এমরানুল হক (২৪) ও ক্সবাজারের চকরিয়া থানার পুকুরিয়া এলাকার আলম কমিশনার পাড়ার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মোক্তার আহমদ প্রকাশ রানা বৈদ্য (৪৭)।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার টেরিবাজারের মাস্টার মার্কেটে রাবেতা ক্লথ স্টোর নামে একটি কাপড়ের দোকানে কর্মচারী ছিলে এমরানুল হক। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চাকরির সুবাদে মালিকের বিশ্বস্ততা অর্জন করে সে। দোকানের মালিক ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম ব্যবসায়িক কারণে ব্যস্ত থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক লেনদেন করতেন এমরানুল হক। ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নগদ টাকা ও ২টি চেক নিয়ে ব্যাংকে জমা দিতে পাঠানো হলে তা আত্মসাৎ করে এমরানুল। এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম।
কোতোয়ালি থানার ওসি ওবায়দুল হক কালবেলাকে বলেন, ব্যবসায়ীর মামলার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় চকরিয়ার পুকুরিয়া এলাকা থেকে এমরানুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে রানা বৈদ্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা থেকে ‘তক্ষক’ কিনে অবৈধভাবে ব্যবসার উদ্দেশে ব্যবসায়ীর টাকা আত্মসাত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন