

ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএমএফ) দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করেছে ‘ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’, যা বাংলাদেশের অনুপ্রেরণাদায়ক সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মী ও উদ্ভাবকদের স্বীকৃতি জানানোর একটি মহোৎসব।
এই মর্যাদাপূর্ণ আয়োজনে সাংবাদিকতা, উদ্ভাবন ও মিডিয়ার সৃজনশীলতায় অসামান্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানানো হয়, যাদের কাজ সমাজে স্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এরই প্রেক্ষিতে বিনোদন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছেন কুদরত উল্লাহ। বর্তমানে তিনি দৈনিক আমাদের সময়ের অনলাইন বিভাগে কর্মরত।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর জুরি বোর্ডের সদস্যরা, যারা দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের সম্পাদনা ও ডিজিটাল নেতৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ।
পুরস্কার প্রাপ্তিতে কুদরত উল্লাহ বলেন, ‘যেকোনো পুরস্কারই পাওয়াই আনন্দের। কাজের মাধ্যমে এমন সম্মান সাংবাদিকরা খুব বেশি একটা পান না। এ জন্য ‘ডিএমএফ’র সবাইকে জানাই ধন্যবাদ। এ পুরস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করার প্রবণতা বাড়িয়ে দিল। আশা করি তাদের দেওয়া এই সম্মান ধরে রেখে ভবিষ্যতে বিনোদনের দুনিয়ায় খুব ভালো কিছু দেওয়া সম্ভব হবে।’
এ ছাড়া গেস্ট অব অনারে আরও ছিলেন ড. রাশিদ আহমেদ হোসাইনি, পরিচালক, (বিগমিয়া), জাবেদ সুলতান পিয়াস, চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার, প্রথম আলো। তসলিম চৌধুরী, সিইও ও হেড অব মার্কেটিং, মোহনা টিভি এবং প্রেসিডেন্ট, (ইএমএমএ)। মো. ফেরদৌস নাঈম পরাগ, হেড অব মার্কেটিং, জিটিভি ও সেক্রেটারি জেনারেল, (ইএমএমএ) রাকিব হোসেন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, লুমিনাস গ্রুপ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. তৃণা ইসলাম (হেড অব অপারেশনস, দ্য বিজনেস ডেইলি) ও ফয়সাল তিতুমীর।
২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিএমএফ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ডিজিটাল মিডিয়া পেশাজীবীদের অন্যতম শীর্ষ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে, যেখানে টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইন সাংবাদিকদের একত্র করে প্রশিক্ষণ, উদ্ভাবন এবং সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল মিডিয়া ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার কাজ করছে।
বিনোদন সাংবাদিকতায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন কুদরত উল্লাহ। পাশাপাশি তিনি নানা ধরনের লেখায় জড়িত। নিয়মিত গল্প-নাটক লিখে নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন নাট্যকার কিংবা লেখক খেতাবটিও।
ইতোমধ্যে তার রচিত একাধিক নাটক প্রচার হয়েছে দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন প্লাটর্ফমগুলোতে। দায়িত্ব পালন করেছেন স্বনামধন্য সংগঠন টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে। ২০২৩-২৪ সাল মেয়াদে এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শিল্প ও সংস্কৃতি, ভাষাসৈনিক, অভিনেতা ও অভিনেত্রী এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত রেখেছেন, এমন ১৩ জন্য ব্যক্তির সাক্ষাৎকারের নানা কথা নিয়ে প্রকাশিত হয় কুদরত উল্লাহর প্রথম বই ‘তারকাকার’। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন তার প্রথম উপন্যাস ‘অন্তে নীলান্তর’র পাণ্ডলিপি নিয়ে।
মন্তব্য করুন