

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী ইসহাক আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাসুদ রানা ধরা পড়েছেন। ঘটনার চার বছর পর ভারতে পালিয়ে থাকা অবস্থায় ধরা পড়েন তিনি। সম্প্রতি ভারতের পুলিশ তাকে আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করার সময় বিজিবির হাতে আটক হন মাসুদ। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।
পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালের ২০ জুলাই ভোরে পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের করনাই-জাবরহাট মাঝাপাড়া সড়কের দক্ষিণ পাশে পুকুরপাড়ে খুন হন স্থানীয় কম্পিউটার পণ্য ব্যবসায়ী ইসহাক আলী (২৮)। ওইদিনই নিহতের পরিবার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। তারা হলেন— জাবরহাট গ্রামের নয়ন (২০), মাধবপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম (৩২) ও চন্দরিয়া গ্রামের মেজবাউল ইসলাম (১৮)। তবে মামলার প্রধান আসামি চন্দরিয়া গ্রামের নুরুল মেম্বারের ছেলে মাসুদ রানা ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যান।
সম্প্রতি ভারতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন মাসুদ। পরে গত বৃহস্পতিবার বিএসএফ তাকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে। সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা মাসুদকে আটক করে যশোরের চৌগাছা থানায় হস্তান্তর করেন। জানা যায়, তিনি পীরগঞ্জের আলোচিত ইসহাক হত্যা মামলার প্রধান আসামি। গত শুক্রবার পীরগঞ্জ থানা পুলিশ চৌগাছা থেকে তাকে নিয়ে আসে এবং শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
এদিকে এ মামলার আরেক আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা, তিনিও ভারতে আত্মগোপনে আছেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ইসহাক হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাসুদ রানা দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক ছিলেন। বিএসএফের মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠানোর পর বিজিবি তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পীরগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন