বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার-২০২২ পেয়েছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। সোমবার (২ অক্টোবর) ওসমানী মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ গ্রহণ করেন রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের অগ্রগতির জন্য বেসরকারি শিল্পখাত অনেক অবদান রেখে যাচ্ছে। আশা করি আগামী ৪র্থ শিল্প বিপ্লব ও আমাদের এই সকল শিল্পখাতের হাত ধরে আসবে।’
পুরস্কার গ্রহণ শেষে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির এই পুরস্কার আমাদের প্রেরণা। এই পুরস্কার আমি আমার সকল কর্মীকে উৎসর্গ করলাম, যারা নিরলস পরিশ্রম করে রানার অটোমোবাইলকে এই পুরস্কার এনে দিয়েছেন।’
রানার গ্রুপ বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যা ২০০০ সাল থেকে সুনাম ও সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে দেশের অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। রানার গ্রুপের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস পিএলসি ২০১১ সাল থেকে ময়মনসিংহের ভালুকায় দেশের সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বমানের নিজস্ব মোটর সাইকেল কারখানায় বাংলাদেশি রানার ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল এবং যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও বিপণন করছে।
‘রানার’ একমাত্র ‘বাংলাদেশি অটোমোবাইল ব্র্যান্ড’ যা মোটরসাইকেল ও থ্রি উইলার উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে বৈশ্বিক গুণগত মান ও যথাযথ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করছে বলেই বিশ্বের নামি দামী ব্র্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশে একটি নির্ভরযোগ্য মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
রানার অটোমোবাইলস দেশের মানুষের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে ‘রানার’ ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল নেপাল ও ভূটান এ রপ্তানির মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশি অটোমোবাইল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের পতাকাকে বিদেশের মাটিতে নিয়ে গেছে। রপ্তানিশিল্পকে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে।
আমাদের মোটরসাইকেল ও থ্রি উইলার দেশের জন্য বয়ে আনবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, তৈরি করবে দক্ষ জনশক্তি ও রপ্তানি বাজারকে বিশ্ব দরবারে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ লক্ষ্যে আমাদের দক্ষ র্কমীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন