সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বি কাউন্সিলর প্রার্থীর বাসার সামনে বন্দুক নিয়ে অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঝুট ব্যবসায়ী থেকে 'পল্লবীর জমিদার' কাউন্সিলর বাপ্পি
সোমবার (২৪ জুলাই) আফতাব সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের এজলাসে জামিন প্রার্থনা করলে, আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে তিনি এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এটিএম মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে আজ সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক জামিন আবেদন শুনানি শেষে আবেদনটি নাকচ করে দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে আপিল করবো।
গত ৬ জুন অস্ত্র নিয়ে সহযোগীদের নিয়ে মহড়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হলে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান সিটি কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। পরে ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাঈদ মো. আবদুল্লাহ লাটিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। সাঈদ মো. আব্দুল্লাহ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে তিনি শপথ নিলেও বিগত পরিষদের মেয়াদ আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত থাকায় এখনো কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন আফতাব হোসেন খান।
আরও পড়ুন : ভোটকেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের হাতাহাতি
গত ৬ জুন সাঈদ মো. আবদুল্লাহ’র বাসার সামনে ৭-৮টি মোটরসাইকেলে ১৫/২০জন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে বন্দুক নিয়ে মহড়া দেন আফতাব। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে এক যুবক ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহর বাসার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র থাক করে ভীতি প্রদর্শন করেন।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, মহড়ায় অংশ নেওয়া যুবকদের সঙ্গে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানও ছিলেন। এ ঘটনায় নগরের এয়ারপোর্ট থানায় আফতাব হোসেন খানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন সাঈদ মো. আবদুল্লাহ।
এদিকে আফতাব হোসেন ছাড়াও এ মামলায় এখন পর্যন্ত আরও দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সেই অস্ত্র এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
মন্তব্য করুন