লালমনিরহাট ও হাতিবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:০৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

তিস্তার পানি রাতেই অতিক্রম করতে পারে বিপদসীমা

তিস্তা ব্যারেজ।
তিস্তা ব্যারেজ।

উজানের ঢলে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তার পানি। বিপদসীমার কাছাকাছি মাত্র ১৭ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আবারও তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট এখনো খুলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে দোয়ানি তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। একই পয়েন্টে বিকাল ৩টা পানি বিপদসীমার ৪০সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পানি বেড়েছে ২৩ সেন্টিমিটার। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোন মুহূর্তে বিপদসীমা অতিক্রম বড় ধরনের বন্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় ওই দোয়ানি তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি আবার কমে যায়। কিন্তু আবারও শনিবার দুপুর গড়তেই পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। এতে চর এলাকার রাস্তাঘাট আবারও তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলা পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, ৫দিন পর আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। বিষয়গুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জেলা প্রশাসককে অবগত কর হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার বিকাল থেকে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতেই পানি প্রবাহ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও তিনি জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খাওয়া-দাওয়া কি সত্যিই সন্তান ধারণে প্রভাব ফেলে, কি বলছে গবেষণা

কলকাতায় মেসির সঙ্গে আসছেন নেইমার!

হলি রোজারি চার্চে বোমা হামলার ঘটনায় খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা 

নামাজ আদায় না করলে অন্য আমলগুলো কবুল হবে কি?

দেশের সব বিমানবন্দরের জন্য জরুরি ১০ নির্দেশনা

জনগণ আর কোনো স্বৈরাচারী সরকারকে দেখতে চায় না : আমান

৪৯তম বিসিএসের প্রশ্নে শহীদ আবু সাঈদ, আলোচিত ‘আয়নাঘর’

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা

জেহাদ স্মৃতিস্তম্ভে ছাত্রদলের শ্রদ্ধা

গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ, সাতজন দগ্ধ

১০

কোমর ব্যথা কমাতে ফিজিওথেরাপি

১১

জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি : রিজভী

১২

শান্তিতে নোবেল পাওয়া মাচাদোর রাজনৈতিক ইতিহাস

১৩

যে কারণে শান্তিতে নোবেল পেলেন মারিয়া

১৪

সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান নিজাম আর নেই

১৫

বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে সুখবর

১৬

কিউইদের বিপক্ষে টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

১৭

ধানের শীষকে বিজয়ী করতে জনসাধারণ মুখিয়ে রয়েছে : ড. কিবরিয়া

১৮

নিয়োগ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, আজই আবেদন করুন

১৯

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

২০
X