ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জীবিত থাকা অবস্থায় চল্লিশার আয়োজন করলেন মারফত

মারফত আলী। ছবি : কালবেলা
মারফত আলী। ছবি : কালবেলা

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বেঁচে থাকায় অবস্থায় চল্লিশার আয়োজন করেছেন মারফত আলী নামে এক ব্যক্তি। সোমবার (১ জুলাই) বড়হিত ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে এ আয়োজন করা হয়। মারফত আলীর এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রথা চালু আছে যে, কেউ মারা গেলে চল্লিশ দিন পরে জানাজায় শরীক হওয়া মুসল্লি ও দরিদ্র অসহায় আত্মীয়স্বজনদের দাওয়াত করে ডালভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করেন কেউ কেউ। এ আয়োজন চল্লিশা নামে পরিচিত।

স্থানীয়রা জানান, মারফত আলীর দুই সংসারে রয়েছে ৩ মেয়ে ও ৬ ছেলে। এলাকায় বিত্তশালী কৃষক হিসেবে পরিচিত তিনি। পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে আয়োজন করা হয় চল্লিশা। এ জন্য তিনি কয়েকদিন হাতে সময় নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে গ্রামের লোকজনকে দাওয়াত দেন।

অনুষ্ঠানে মেহমানদের খাবারের জন্য এক লাখ ১৫ হাজার টাকার একটি গরু, ২০ হাজার টাকার খাসি, মুরগি, মাছ ছাড়াও খাওয়ানো হয়েছে পায়েস। অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৫/৬ শত নারী-পুরুষকে খাওয়ানো হয়।

মারফত আলীর বড় ছেলে ফারুক মিয়া বলেন, বাবার ইচ্ছা তিনি জীবিত থেকেই এ মেহমানদারি করবেন। এতে আমাদেরও সম্মতি ছিল। তবে বাবা না থাকলেও বাবার আত্মার শান্তির জন্য এটা করতাম।

ছোট ছেলে সুজন মিয়া বলেন, বাবার একটা সন্দেহ দূর করতেই এ আয়োজনে সবার সম্মতি ছিল। এতে আমাদেরও ভালো লাগছে।

মারফত আলী কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছি। ইবাদত ছাড়া এখন তেমন কোনো কাজকর্ম করি না। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছি। ছেলেরা কেউ বিয়ে করে আলাদা আবার কেউবা লেখাপড়া করছেন। যার যার মতোই ব্যস্ত থাকে। এ অবস্থায় চিন্তাভাবনা করছি নিজের জমিজমা ভাগ-বাটোয়ারা করে দিয়ে দেব।

তিনি বলেন, এরপর পরপারে চলে যাওয়ার অপেক্ষা। এর মধ্যে মাথায় আসে মারা গেলে সন্তানরা যদি চল্লিশা না করে। এ জন্য নিজ সিদ্ধান্তেই নিজের চল্লিশা জীবিত অবস্থাতেই করেছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুফতি কাসেমী গ্রেপ্তার

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত : রিজভী

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামলা, কমান্ডারকে নিহতের দাবি ইসরায়েলের

রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

এ দেশ সবার, কারো একার না : সালাউদ্দিন বাবু

‘স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় না গিয়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে ফিরে যান’

ফাইনাল জিততে বাংলাদেশের দরকার ১২৬ রান

শাহজাহানের বক্তব্য সমর্থন করে না জামায়াত

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’, নামের অর্থ জানুন

প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু

১০

বাংলাদেশে বাস করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা কাম্য নয় : কাদের সিদ্দিকী

১১

নরসিংদীতে ভূমিকম্প আতঙ্ক / ঘর ছেড়ে রাস্তা-মাঠে নির্ঘুম রাত, শহর ছাড়ার ভাবনা

১২

ঘাস খাওয়ায় গরুর পায়ের রগ কাটল প্রতিবেশী

১৩

রেস করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ তরুণের

১৪

কবিতা-গানের মনোমুগ্ধময় সন্ধ্যা― ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’

১৫

রেফারি বিতর্ক নিয়ে বার্সাকে ফের আক্রমণ রিয়াল সভাপতির

১৬

লেবাননে আবারও ইসরায়েলি হামলা

১৭

সাতক্ষীরা-৩ / আশ্বাস পেয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত ডা. শহিদুল আলম

১৮

বিএনপির সাথে বৈঠক / খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

১৯

বরিশালের ৬টি আসনে এনসিপির মনোনয়ন চান ১১ জন, তিনটিতে একক প্রার্থী

২০
X