আজহার ইমাম, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডালপুরি বেচেই চলে ১৩ জনের সংসার

নিজের দোকানে ডাল-পুরি ভাজছেন জুলহাজ হোসেন। ছবি : কালবেলা
নিজের দোকানে ডাল-পুরি ভাজছেন জুলহাজ হোসেন। ছবি : কালবেলা

প্রতিদিন সকাল থেকে দোকানের চারপাশে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় শুরু হয়। কেউ বলেন, ‘আমাকে ৮টা পুরি দাও’, কেউ বলেন, ‘আমাকে ১০টা পুরি পার্সেল করে দাও’। ‘দিচ্ছি ‘দিচ্ছি’ বলতে বলতে ক্রেতাদের সামনে দুই হাত আর মুখ চলে ৫৪ বছর বয়সি জুলহাজ হোসেনের। ডালপুরি বিক্রি করেই চলে তার ১৩ সদস্যের সংসার।

১৯৮৮ সালে প্রতি পিস ডালপুরি ৫০ পয়সা করে বিক্রি শুরু করেন এই বিক্রেতা। আস্তে আস্তে দাম বাড়তে বাড়তে এখন এই ডালপুরির দাম হয়েছে ১০ টাকা।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার নতুন বাজার বড় মসজিদের বাম পাশে জুলহাজের দোকান। তার বাড়ি পৌরসভার রেলস্টেশন চত্বর এলাকায়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দোকানটি খোলা থাকে। ডালপুরির এ দোকানটি বেশ পরিচিতি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বিক্রিও বেশ ভালো। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এই দোকানে ডালপুরি খেতে আসেন। ডালপুরির সঙ্গে জুলহাজ হোসেন ক্রেতাদের প্লেটে তুলে দেন মজাদার তেঁতুলের সস। দোকানের কাজে তাকে সহযোগিতার জন্য রয়েছেন পাঁচজন কর্মচারী।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১০০০ থেকে ১৫০০ ডালপুরি বিক্রি করেন জুলহাজ হোসেন। তবে শুক্রবার তার দোকান সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে বন্ধ থাকে। প্রতিটি ডালপুরির দাম ১০ টাকা। আয় বাড়াতে ডালপুরির পাশাপাশি তিনি পরোটা ও রোল বিক্রি করেন। প্রতিদিন তিনি প্রায় ১৫ হাজার টাকার বেশি ডালপুরি বিক্রি করেন। খরচ বাদ দিয়ে তার মোটামুটি লাভ থাকে। লাভের টাকায় ১৩ জন লোকের সংসার চালান জুলহাজ হোসেন।

জুলহাজ হোসেন জানান, ডালপুরি তৈরি ও সুস্বাদু করতে আদা, রসুন, মসলা, টেস্টি লবণ ও জিরা ব্যবহার করেন তিনি।

জুলহাজ হোসেনের দোকানে ডালপুরি খেতে এসেছেন একইর মঙ্গলপুর গ্রামের বুলবুলি বেগম। তিনি বলেন, আমরা বিরামপুর এলে জুলহাজ ভাইয়ের দোকানে ডালপুরি খাই। ডালপুরি ও ডালপুরির সঙ্গে যে সস দেওয়া হয় তা খুবই মজাদার।

বিরামপুরের পাশের উপজেলা নবাবগঞ্জ থেকে আসা সিরাজুল চৌধুরী বলেন, বিরামপুরে ডালপুরি খেতে আসছি। ডালপুরির সঙ্গে সসও খুব মজা হয়েছে। বিরামপুরে যতবার আসি এই দোকানে ডালপুরি না খেয়ে যাই না। দোকানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, তাই ডালপুরি খেতে আরও ভালো লাগে।

বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুল বলেন, জুলহাজ হোসেনের দোকানে ডালপুরি খেতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন আসেন। এলাকায় ডালপুরির বেশ সুনাম রয়েছে। মাঝে মাঝে আমিও ডালপুরি খেয়ে বাসার জন্য নিয়ে যাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্কে শহিদুল আলম

দক্ষিণ কোরিয়ার জালে ব্রাজিলের গোলবন্যা

বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অভিনেত্রী তৃষা

আইফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হওয়ার জন্য দায়ী যে অ্যাপ

লিবিয়া থেকে দে‌শে ফিরলেন আরও ৩০৯ বাংলাদেশি

চলতি মাসেই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, হতে পারে বন্যাও

জামায়াতের মনোনয়ন পেলেন তুরস্কফেরত ড. হাফিজ

এশিয়া কাপ ট্রফি তালাবদ্ধ করে রেখেছেন নকভি, কারও ছোঁয়াও নিষেধ

অভিনয়-নির্মাণে ব্যস্ত পলাশ

কত বয়সে শুরু করবেন কোলেস্টেরল টেস্ট? চিকিৎসক যা বলছেন

১০

অবৈধ পার্কিংয়ে বাসচালককে জরিমানা, পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা

১১

পাল্টে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপের সময়

১২

১৭ জেলায় রাতে ঝড়ের আভাস

১৩

ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই

১৪

দিল্লিতে বসে হাসিনার অপরাজনীতি চলবে না : রাশেদ প্রধান

১৫

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন শহিদুল আলম

১৬

এরদোয়ানের সবুজ সংকেত, গাজা মিশনের জন্য প্রস্তুত তুর্কি সেনা

১৭

শাহবাগের তিন জায়গায় ৩ জনের মরদেহ

১৮

মিয়ানমারে আবারও সংঘাত, সীমান্তে গোলাগুলি

১৯

এক রাতে ছয়টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি

২০
X