কুড়িগ্রাম ও রৌমারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় জন্ম হলো নবজাতকের

এ নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় জন্ম নিয়েছে একটি কন্যা সন্তান। ছবি : কালবেলা
এ নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় জন্ম নিয়েছে একটি কন্যা সন্তান। ছবি : কালবেলা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুতিরপার এলাকার একটি সেতু। প্রায় ১৫ বছর আগে বন্যায় ভেঙে গেছে সেতুটি। বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়দের উদ্যোগে সেখানে নির্মাণ করা হয় বাঁশের সাঁকো।

এরপর থেকে এ সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার একটি গ্রামের হাজারও মানুষকে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এমনই এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বিলকিস খাতুন নামের এক প্রসূতি। ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সাঁকোটি গাড়ি চলাচলের জন্য একেবারেই অযোগ্য। তাই হেঁটে পার হচ্ছিলেন সবাই। একপর্যায়ে ভাঙা সাঁকোয় দিয়ে যাওয়ার কারণে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিলকিস খাতুন। তখন প্রসব বেদনা ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে জন্ম দেন ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। সন্তানের নাম রাখা হয় স্বপ্না আক্তার।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া-মন্ডলপাড়া-খাটিয়ামারী সড়কের সুতিরপার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রসূতি বিলকিস খাতুন সাইজুদ্দিনের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি রৌমারী সদর ইউনিয়নের সুতিরপার এলাকায়।

প্রসূতি বিলকিস খাতুনের ভাই শাফি আহমেদ বলেন, শুধু সেতু নির্মাণ না হওয়ার কারণে আজ আমার বোন পথেই সন্তান জন্ম দেয়। এটা বড় দুঃখের বিষয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এ ভাঙা সাঁকো নিয়ে দুর্ভোগে আছি আমরা।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু এর কোনো প্রতিকার মিলছে না। দ্রুত একটি টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। এ কারণে আজ এক প্রসূতি মা সন্তান প্রসব করেছেন। বাঁশের সাঁকোটিতে। চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করা হচ্ছে।

রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মনছুরুল হক বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ওই সড়কের বিষয়টি আমার জানা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি-ভাঙচুর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

জেলের জালে বড় ইলিশ, ৯ হাজারে বিক্রি 

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

আগামী সংসদ প্রথম তিন মাস ‘সংবিধান সংস্কার সভা’ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব

১০

ধরলার তীব্র ভাঙন, টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

১১

নেতা ও ভোটারের জবাবদিহিই হবে শ্রেষ্ঠ সংস্কার : মঈন খান

১২

পাপের ফল ওদের ভোগ করতেই হবে : রাশেদ খান

১৩

ক্ষমা চাইলেন স্বাধীন খসরু 

১৪

স্বাধীনতাবিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : আমিনুল হক

১৫

ঢাকায় উদযাপিত হলো রাশিয়ান পতাকা দিবস

১৬

একাদশে ভর্তিতে কোনো শিক্ষার্থী পায়নি ৩৭৮ কলেজ

১৭

৫০ হাজারে শ্লীলতাহানির রফাদফা করলেন সভাপতি-প্রধান শিক্ষক

১৮

কে বেশি টাকা দেয়, ফেসবুক নাকি ইউটিউব

১৯

অর্ধ বিলিয়ন জরিমানা থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প

২০
X