ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। জেলা শহরে একাধিক স্থানে মিলেছে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপস্থিতি। ছোট বড় সব বয়সী মানুষই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় জেলাজুড়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সরেজমিন দেখা গেছে, আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসা সেবা সঠিকভাবে না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা।
আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি
রোগী ও স্বজনরা জানান, হাসপাতালের ফ্যান নষ্ট। তা ছাড়া হাসপাতালে সার্বক্ষণিক প্যাথলজিস্ট নেই। মশারি টানানোর ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই।
জেসমিন নামে এক রোগী বলেন, ‘তিনদিন ধরে হাসপাতালে আছি; কিন্তু মশারি টানাতে পারছি না।’
শৈলকূপা থেকে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে আসা শিহাবের স্বজনের অভিযোগ, হাসপাতালের পরিবেশ ভালো নয়। তা ছাড়া বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে, এতে খরচ হচ্ছে দ্বিগুন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শৈলকূপায় তিনজন, কালীগঞ্জে তিন, হরিণাকুণ্ডুতে এক, কোটচাঁদপুরে দুই এবং মহেশপুরে দুজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন : নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে ডেঙ্গু
ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহে এখানে ৪০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে ১১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে জেলার বিভিন্ন এলাকাতেও আক্রান্ত বাড়ছে। ডেঙ্গু রোগীদের বিশেষায়িত কক্ষে মশারির নিচে রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্সের তত্ত্বাবধানে তারা সেবা পাচ্ছেন।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ডেঙ্গুর লক্ষণে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি মশার থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
মন্তব্য করুন