সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় জেলার অরক্ষিত নদীতীর এলাকায় ভাঙনের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তবে ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরের দিকে কাজিপুরের মাইজবাড়ি স্পার বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মুখলেসুর রহমান সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, মেঘাই স্পার বাঁধ, হাঁটপাটিল ও চৌহালী উপজেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোর প্রতি আমরা সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রেখেছি। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাতদিন ২৪ ঘণ্টা এসব অঞ্চল নজরদারিতে রেখেছে। যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক জিওব্যাগ বা জিওটিউব ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৬ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ১০মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমা ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে আর যমুনার পানি এই পয়েন্টে বাড়ার সম্ভাবনা নেই। বড় ধরনের বন্যার শঙ্কাও নেই।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৪৯টি পরিবারের ৯৪ হাজার ২১৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাদুর্গত এসব মানুষের জন্য ইতোমধ্যে ১০০ টন চাল, ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুত রয়েছে আরও ১২০০ টন চাল, ২০ লাখ টাকা ও ৭শ প্যাকেট শুকনো খাবার। তিনি আরও জানান, চলতি বন্যায় নৌকা ডুবে দুজন ও বানের পানিতে ডুব একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়া অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন