সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও গত কয়েক দিনে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ২ হাজার ২৪১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছে ২৭৪ জন। ডেঙ্গু রোগীর জন্য অতি প্রয়োজনীয় ডিএনএস স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এরপর মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রামে ওষুধের বড় পাইকারি বাজার হাজারী গলিতে জেলা প্রশাসনের একটি দল অভিযান চালাতে গেলে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এসএম সুলতানুল আরেফীনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ডেঙ্গু রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হু হু করে বাড়ছে ডিএনএস স্যালাইনের চাহিদা। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিগুলোতে নেই পর্যাপ্ত ডিএনএস স্যালাইন। স্যালাইনের পণ্যের গায়ে মূল্য ১০০ টাকা লেখা থাকলেও এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে ফেলেছে । সোমবার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে এই স্যালাইন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি ওষুধের বাজার হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।
এ সময় বেঙ্গল ফার্মেসি ও চট্টলা ফার্মেসি নামক দুটি দোকানে মাত্র ১৫০ লিটার ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যায়। পরে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ফার্মেসিতে ন্যায্য দামে এই ওষুধ বিক্রি করা হয়। এরপর হাজারী গলির খাজা মার্কেটের একটি দোকান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করা হয়। অভিযানে ৩ দোকানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বাজারে আসলেই ডিএনএস স্যালাইনের সংকট রয়েছে। আমরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কথা বলব। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিব স্যারের সঙ্গে কথা বলব। বাজারে স্যালাইনের সাপ্লাই স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন