মহেশখালীতে প্যারাবন নিধন করে সরকারি জমি দখল করে চিংড়িঘের করায় ২৬ জনের নামে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২২ জন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বাকি চারজন দলের সমর্থক।
সোমবার (৮ জুলাই) পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক ফাইজুল কবির বাদী হয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।
জানা যায়, কক্সবাজার জেলার মহশেখালী উপজলোর প্রতিবেশ সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা সোনাদিয়া দ্বীপের ঘটি ভাঙা মৌজার বহদ্দার খালের পূর্ব ও পশ্চিম পশে ২টি স্পট (জিপিএস পয়েন্ট, বহদ্দার খালের শেষ মাথা ২টি স্পট (জিপিএস পয়েন্ট), মোছখালী খালের পূর্ব ও পশ্চিম পশে ২টি স্পট (জিপিএস পয়েন্ট) এবং সোনাদিয়া পশ্চিম পাড়ায় ১টি স্পট জিপিএস পয়েন্টে হাজার হাজার বাইন গাছ কেটে কয়েক হাজার একর সরকারি জমি দখল করে আসছে ভূমিদস্যুরা।
এ নিয়ে বন বিভাগ কয়েকটি মামলা করলেও এতদিন নিশ্চুপ ছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। অবশেষে ২৬ জন বন খেকোদের বিরুদ্ধে মামলা করে সরকারি এই সংস্থাটি।
মামলার আসামিরা হলেন, সোনাদিয়ার ২নং ওয়ার্ডের খলিলুর রহমানের ছেলে সাবের আহমেদ (৪৮), বড় মহেশখালীর ফকিরাঘোনার মৃত আনোয়ার পাশার ছেলে মহসিন আনোয়ার (৫০), ঘটিভাঙার ওসমান আলী (৬১), পশ্চিম ফকিরাঘোনার শ্রমিকলীগ নেতা জসিম উদ্দীন (৪০), জাগিরাঘোনার মোস্তাক আহমেদের ছেলে সাজেদুল করিম (৪৫), ঘটিভাঙার মৃত নেজাম আলীর ছেলে রবিউল আলম (৪২), সোনাদিয়া পূর্বপাড়ার মোজাফর আহমেদের ছেলে মো. ফারুক (৪১), জাহাঙ্গীর আলম (৪২), জাফর আলম (৬০), মো. তারেক (৩৫), আমিরুজ্জামান (৬২), সাজ্জাদুল করিম (৩৮), নুরুল আমিন খোকা (৪১) (সাবেক মেম্বার), মো. ছিদ্দিক রিমন (৩৯), শাহাদাত কবির (৪৫), সোনামিয়া (৩৭), নুরুল আমিন (সাবেক চেয়ারম্যান) (৬২), শহিদুল্লাহ সিকদার (৬৮), মো. নেজাম (৪৩), আমির হোসেন (৫৪), নাসির উদ্দিন (৫০), শফি আলম (৪৫), মো. আলম শরিফ (৪৭), জয়নাল আহমদ (৪৫), আমির হোসেন (৪৮) ও আজিজুল হক (৪৬)।
মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে একটি মামলা করা হয়েছে এবং মামলার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছেন।
মন্তব্য করুন