মুন্সীগঞ্জে বাড়ির সামনে থেকে ডেকে নিয়ে সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সালমানকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
আহত সাংবাদিক সালমান দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার সিরাজদিখান উপজেলা প্রতিনিধি। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার পূর্ব চান্দেরচর গ্রামের কামিজুদ্দিন কামু (৬০) ও একই এলাকার কালাইচান মাদব্বরের (৫৫) সমর্থকদের মধ্যে ফসলি জমির মাটি কাটার টাকার ভাগবাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। যা চলমান থাকে সকাল ৯টা পর্যন্ত।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৯ জনকে আটক ২০৫টি টেঁটা ও ৯টি ঢাল উদ্ধার করেছে। সংঘর্ষের সময় দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার সিরাজদিখান প্রতিনিধি সালাউদ্দিন সালমান তার ওই এলাকার নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ সময় সিরাজদিখান থানার এস আই লোকমান সালমানকে তার বাড়ির সামনে হতে সিরাজদিখান থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলাম ডাকছে বলে নিয়ে যান। পরে ওসির সামনে এসআই লোকমানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন পুলিশ তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সালাউদ্দিন সালমান বলেন, ঘটনার সময় আমি আমার নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। এসআই লোকমান এসে আমাকে বলে আপনাকে ওসি সাহেব ডাকছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনকালে হাতের মুঠোফোন দিয়ে পুলিশের লাঠি চার্জের ছবি নিচ্ছিলাম। তখন দেখতে পাই কয়েকজন পুলিশ মহিলাদের ওপর লাঠিচার্জ করছে। আমি এসআই লোকমানের সঙ্গে ওসির সামনে গেলে প্রথমে তারা আমার মোবাইল কেড়ে নেন। এরপর লোকমানসহ সিরাজদিখান থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ মিলে ওসির সামনেই আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ বিষয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার ও মাটি বিক্রির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ওই এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক।
উল্লেখ্য এর আগে গত ২১ জুন ওই এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল, ওই সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন।
মন্তব্য করুন