মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৯ এএম
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পল্লী বিদ্যুতের ‘ঘাটতি মেটাতে’ ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২। ছবি : সংগৃহীত
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২। ছবি : সংগৃহীত

‘ভুতুড়ে’ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গ্রাহকরা। জুন মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে হিসাব মিলছে না অধিকাংশ গ্রাহকের। অভিযোগ উঠেছে, পল্লী বিদ্যুতের ‘ঘাটতি মেটাতে‘ প্রতিটি বিলে অতিরিক্ত টাকা যোগ করে দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় রাজগঞ্জ সাব জোনাল অফিস রয়েছে। গত জুন মাসে এ এলাকার অধিকাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গেই যোগ করা হয়েছে অতিরিক্ত টাকা। মিটার রিডার গ্রাহকের বাড়িতে না এসে অফিসে বসে বিল তৈরি করছেন, যে কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বলছে, চাকরি স্থায়ীকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে সমিতির অনেকেই কর্মবিরতি আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় এমনটা হতে পারে।

রঘুনাথপুর গ্রামের শাহ আলম নামে এক গ্রাহক বলেন, রাজগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের আওতার তার একটি বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প রয়েছে। নিজেরসহ অন্যান্য কৃষকদের ১৬ বিঘা জমিতে সেচ দেন। বোরো মৌসুমের পর দুই মাস সেচ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত মে মাসে ৫৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখিয়ে ৩৫৫ টাকা বিল করা হলে তা পরিশোধ করি। এরপর শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় জুন মাসের বিলের কাগজ হাতে পাই। বন্ধ থাকা সেচ পাম্পে ৮৪৯ ইউনিটের বিপরীতে ৩ হাজার ৭১০ টাকা বিল করা হয়েছে।

অপর সেচ পাম্প মালিক সুলতান জমাদ্দার অভিযোগ করে বলেন, বোরো ও আমন মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে সেচ দিই। বন্ধ থাকা সেচ যন্ত্রে জুন মাসে ৭৪০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখিয়ে ৩ হাজার ২৫২ টাকা বিল করা হয়েছে।

শুধু শাহ আলম, সুলতান নন এমন ভুতুড়ে বিলের কাগজ পেয়েছেন, প্রভাষ মন্ডল, বিনোদ রায়, নূর ইসলাম, কামরুল হাসান, নাজির উদ্দিন। তারা সবাই সেচ পাম্পের মালিক। অন্য মাসের তুলনায় জুন মাসে তাদের অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে।

প্রভাষ মন্ডলের জুন মাসের বিল দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৯৭ টাকা, বিনোদ রায়ের ১ হাজার ১৫২ টাকা, নূর ইসলামের ১ হাজার ৬১৫ টাকা, কামরুজ্জামানের ৯৮৪ টাকা ও নাজির উদ্দিনের ৫৬৪ টাকা।

গ্রাহকদের অভিযোগ, গত মাসে মিটার রিডার সরেজমিনে বিল করতে আসেননি। হয়তো অফিসে বসেই তারা বিল তৈরি করেছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে সমিতির এক মিটার রিডার বলেন, সারা বছরের পল্লী বিদ্যুতের বিলের মোটা অঙ্কের টাকা ঘাটতি দেখা যায়। জুন ক্লোজিং এ সেই ঘাটতি পূরণ করতে অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি বিল তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাড়তি বিল তুলতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

রাজগঞ্জ সাব জোনাল দপ্তরের এজিএম শাহজাহান বলেন, জুন ক্লোজিংয়ে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে সমস্যা হতে পারে। গ্রাহকরা অফিসে এসে অভিযোগ করলে তা সমাধান করে দেওয়া হবে।

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল লতিফ কালবেলাকে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলন চলছিল। রিডিং কাজে মাঠপর্যায়ে না যাওয়ায় কিছু ত্রুটি হতে পারে। অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে গ্রাহকদের অভিযোগ থাকলে তা সমাধান করা যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধে প্রতিশ্রুতি আমিনুল হকের

শেখ হাসিনা ও কামালের আপিল করার সুযোগ নিয়ে যা জানা গেল

যুবদলের এক নেতা বহিষ্কার

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে : খন্দকার মোশাররফ

রাজধানীর ২ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ দুর্বৃত্তদের

ভয়াবহ আগুনে পুড়ল ৭ দোকান

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের ধোঁয়া, যাত্রীরা আতঙ্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরে রুশ যুদ্ধজাহাজ

১০

রায় ঘোষণার পর আ.লীগ অফিসে আগুন

১১

আখাউড়ায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১২

‘ভুডু’ বিতর্কে থামল নাইজেরিয়ার বিশ্বকাপ স্বপ্ন

১৩

‘দুই প্রক্রিয়ায় ভারতকে চিঠি পাঠাবে বাংলাদেশ’

১৪

রায় মনে করিয়ে দিয়েছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : রব

১৫

ধানের শীষের বিজয় মানেই মানুষের মুক্তি : মান্নান

১৬

টাকার বিনিময়ে মিছিল করতে গিয়ে ধরা

১৭

এসএমসি এন্টারপ্রাইজকে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেবে প্রাইম ব্যাংক

১৮

ব্যাংকক ম্যারাথনে চ্যালেঞ্জ জয় করে বাংলাদেশের পতাকা উড়ালো নাহিদ

১৯

শাওনকে ‘ভারতীয় গুপ্তচর’ আখ্যা দিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি

২০
X