ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ব্রহ্মপুত্রের দশআনি নদের ভাঙনে দিশাহারা এলাকাবাসী

জামালপুরের ইসলামপুরে ব্রহ্মপুত্র শাখার দশআনি নদে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি : কালবেলা
জামালপুরের ইসলামপুরে ব্রহ্মপুত্র শাখার দশআনি নদে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি : কালবেলা

জামালপুরের ইসলামপুরে ব্রহ্মপুত্র শাখার দশআনি নদের পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৪-৫ দিন থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। উপজেলার চর গোয়ালিনী ইউনিয়নের পূর্ব হরিণধরা ও পশ্চিম হরিণধরা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার চর গোয়ালিনী ইউনিয়নের পূর্ব হরিণধরা এলাকায় ও পশ্চিম হরিণধরা গ্রামে নদের পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ১ মাসে ব্রহ্মপুত্র দশআনি নদের ভাঙনে বিলীন হয়েছে ২০টি বাড়ি ও ৫-৬ একর ফসলি জমি। হুমকির মুখে রয়েছে ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা, ৩টি মসজিদ ও দুটি হাটবাজার। এ ভাঙনের কবলে পড়ে দিশাহারা হরিণধরা এলাকায় মানুষ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত বছর ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলার প্রকল্প কাজ ব্রিজের উত্তর পাশে করেছে। আমাদের এপাশে কোনো কাজ করেনি।

পূর্ব হরিণধরা গ্রামের মো. হাসেম আলী কালবেলাকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে থাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে মাটি নিচের দিকে দেবে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষজন রাতে অনেক আতংকে থাকে কখন কার বাড়ি নদীতে চলে যায়। এতে করে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি তিনি যেন জামালপুর ইসলামপুরের ব্রহ্মপুত্র শাখার দশআনি নদের বাম তীরে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেন।

পূর্বহরিণধরা গ্রামের হান্নান মিয়া কালবেলাকে বুকভরা বেদনা নিয়ে বলেন, ‘আমরা ত্রাণ চাই না, আমরা নদী শাসন চাই। কত লোকজন এলো ভাঙন দেইখা আশা দিয়া গেল, যে নদী আর ভাঙবো না। কিন্তু তারা যাওয়ার কিছুদিন যেতে না যেতেই নদীতে সর্বনাশা ভাঙন দেখা দেয়। আমাগরে দুঃখ-কষ্ট কেউ বুঝল না। আমরাও একসময় ধনী ছিলাম, নদীতে ভেঙে আমরা এখন পথের ফকির হয়ে গেছি।’

চর গোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম হরিণধরা গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাখাওয়াত হোসেন কালবেলাকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা দশআনির পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব হরিনধরা ও পশ্চিম হরিণধরা গ্রামে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ১ মাসে ২০টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। যেভাবে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে, নদের ভাঙন দেখে এলাকার মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।

চর গোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘আমি এমপির নির্দেশনায় ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখেছি। আপাতত তাদের জিআর-এর চাউল বিতরণ করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বিলীন হওয়া পরিবারের তালিকা করা হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে, আশা করছি দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

স্ত্রী-সন্তানসহ সৌদিপ্রবাসী মনিরের মৃত্যু, বাসার তত্ত্বাবধায়ক আটক

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় ৬ নির্দেশনা

খালসহ ১০টি জলমহাল উন্মুক্ত করলেন খুলনার জেলা প্রশাসক

৩০ আগস্ট ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই 

৩৬ জুলাই বিপ্লব ও নির্মম নির্যাতনের মধ্যেও বেঁচে ফেরার গল্প

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ / এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

১০

খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষের অভিযোগ

১১

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ‘সান্তাল হুল’ দিবস উদযাপন

১২

২৯৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করল চসিক

১৩

যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন ইউনূস-রুবিও

১৪

করোনার ‘ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা’, অতঃপর...

১৫

ইরানে একাধিক ইউরোপীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

১৬

ঢাবি শিক্ষার্থী সৌমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

১৭

ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর

১৮

গাজাবাসীর জন্য বিশেষ ভিসা চালু করতে স্টারমারকে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

১৯

পাবিপ্রবিতে শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণা প্রণোদনা প্রদান

২০
X