সিরাজগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই আন্দোলনকারী রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়েছে। সংঘর্ষ চলা অবস্থায় আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬) জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রেলগেট মহল্লায় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে এসবি ফজলুল হক রোড, ইসলামিয়া কলেজ রোড ও স্টেডিয়াম রোড ও সদর হাসপাতাল রোড পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিসান (১৯) ও সিয়ামকে (১৯) সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে নাবিল, সৈকত নয়ন ও ইমনের নাম জানা গেছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সিরাজগঞ্জ ২নং পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শক এস এম কামাল, গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক সৌমিক হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল ইসলাম, ডিএসবির উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলামসহ পাঁচজন।
আন্দোলনকারী সৈকত ও নাবিল জানায়, আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পুলিশ ছাত্রদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলে সংঘর্ষের স্থল থেকে আমরা এখন পর্যন্ত ৮-৯ জনকে আটক করেছি।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম জানান, কোটা আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে রেলগেট এলাকায় পৌঁছলে তাদের ভেতরে থাকা বহিরাগতরা পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তখন তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুক এটা সবাই চায়। ছাত্রছাত্রীদের বোঝানোর পরও যারা আন্দোলন করে তারা সবাই কো-অপারেট করেছে। কিন্তু যাদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তারা সবাই বহিরাগত। একটি চক্র দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
মন্তব্য করুন