সিলেটের আদালতপাড়ায় আইনজীবী ও সাংবাদিক মুহাম্মদ তাজ উদ্দিনের ওপর হামলা চালিয়েছেন বিএনপির সাবেক নেতা শামসুজ্জামান জামান ও তার পোষ্য একদল সন্ত্রাসী। তারা এজলাসের করিডোরেই এই আইনজীবীকে মারপিট করে রক্তাক্ত করে। এ সময় সাধারণ মানুষ এগিয়ে এলে জামান ও তার সন্ত্রাসীবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বেলা ২টায় সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিক মিঠু দাস জয়ের ওপর এক ছিনতাইকারীর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। ওইদিন দুপুরে শুনানি চলাকালে এজলাসকক্ষে তাজ উদ্দিনের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান শামসুজ্জামান জামান। জামান এসময় তাজ উদ্দিনকে হুমকি প্রদান করে বলেন, ‘বাইরে আসলে তোমাকে দেখে নেওয়া হবে’। এর কিছুক্ষণ পর এজলাস থেকে বের হয়ে আসেন মামলার আইনজীবী তাজ উদ্দিন ও দেবব্রত চৌধুরী লিটন। পেছনে পেছনে আসেন জামান ও তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা। এজলাসের মূল ফটকের ৮/১০ হাতের মধ্যেই আচমকা তাজ উদ্দিনকে ধাক্কা মারেন জামান। এরপরেই তাজ উদ্দিনের নাকে সজোরে আঘাত করেন জামান। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিন লুটিয়ে পড়েন করিডোরে। এ সময় নাক এবং কপাল থেকে রক্ত ঝরতে থাকে তার। অনেকটা অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। মাটিতে পড়ার পর জামানের সাথে থাকা মামলার আসামি চিহ্নিত ছিনতাইকারী ইসলাম আলী, আহমদ আলী, ছাত্রদল নামধারী নিজাম উদ্দিন টিপু, হেলাল উদ্দিন শিপুসহ অন্যরা তাজ উদ্দিনকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে আদালতে উপস্থিত আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসলে দ্রুত সটকে পড়েন জামান ও তার সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা। তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি, ভুক্তভোগী আইনজীবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা পদক্ষেপ নেব।
মন্তব্য করুন