শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাইনি তাই স্কুল বন্ধ রেখেছি’

পালং তুলাসার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা
পালং তুলাসার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা

শরীয়তপুরের পালং তুলাসার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার দাবি, স্কুল খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি পায়নি তারা। আর বিদ্যালয়ে তালা ঝুলানো দেখে ফিরে গেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে কারফিউ জারির পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর সোমবার (৫ আগস্ট) সরকারের পতন হলে ওইদিন রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার থেকে স্কুল-কলেজ, মাদ্রসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ঘোষণা দেয় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এ দিকে সারা দেশে প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পায়নি এমন দাবি জানিয়ে শরীয়তপুরের পালং তুলাসার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বন্ধ রেখেছেন প্রধান শিক্ষক ইমদাদ হোসেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) সরেজমিনে বেলা ১১টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ভবন ও গেটে তালা ঝুলানো রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্কুল মাঠে খেলাধুলা করছে শিশুরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কালবেলাকে বলেন, যেখানে জেলার প্রতিটি উপজলা এবং শরীয়তপুর শহরের সব বিদ্যালয় খোলা, সেখানে মডেল বিদ্যালয়টি কীভাবে বন্ধ রাখে আমার বুঝে আসে না।

হাসান আল মামুন নামে এক অভিভাবক বলেন, ছেলেকে নিয়ে সকালে স্কুলে এসে দেখি গেটে তালা ঝুলছে। যেখানে জেলা শহরে সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। সেখানে কোন যুক্তিতে মডেল স্কুলটি বন্ধ রেখেছে আমি জানি না। তবে বিষয়টি আমার কাছে মোটেই ভালো লাগেনি। তবে শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতি একটাই অনুরোধ, সবার ভয়ভীতি দূর করে তাদের আশ্বস্ত করে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হোক।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমদাদ হোসেন বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আমরা এখনো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি পাইনি। তাই আমি আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল হাসান কালবেলাকে বলেন, আইএসপিআর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলা হয়েছে। তবে এ অবস্থায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিরাপত্তা অনুভব না করে বা তার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে সেটি তার বিষয়। তা ছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে আমরা নোটিশ পাইনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাশকতার পরিকল্পনা, আ.লীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে মারামারি-কাটাকাটি কিছুই থাকবে না : ফয়জুল করীম

কোরআন পাঠে শ্রেষ্ঠদের হাতে ওমরাহসহ ১৫ লাখ টাকার পুরস্কার দিল আস-সুন্নাহ

দুবার গাজা ধ্বংস হতে দেখা বৃদ্ধ আয়িসের করুণ গল্প

ইউরোপ যেতে সাঁতরে সাগর পাড়ি দিলেন মা ও ১০ বছরের সন্তান

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয়

বিভাজনের রাজনীতি করে দেশকে ভালোবাসা যায় না : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণের ঐক্যের সামনে ভেসে যাবে : ডা. জাহিদ

দেশে একাধিক অগ্নিকাণ্ড, সচিবালয়ে জরুরি বৈঠক

হাসপাতালে ভর্তি পরিণীতি চোপড়া!

১০

পুরোপুরি নিভে গেল বিমানবন্দরের আগুন : ফায়ার সার্ভিস

১১

শাপলা ইস্যুতে এনসিপির ৫ দাবি ও ২ যুক্তি

১২

যে সময়ে দোয়া করলে আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না, জানালেন বিশেষজ্ঞ আলেম

১৩

আত্মসমর্পণের পর চকবাজার থানা যুবদল নেতা সজিব কারাগারে

১৪

‘কর্তৃত্ব নয়, ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে জনগণকে আপন করে নিতে হবে’

১৫

স্কুলের মিটিংয়ে পোশাক খুলে প্রতিবাদ

১৬

সড়ক দুর্ঘটনায় আলোচিত টিকটকারের মৃত্যু

১৭

টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে পুরস্কার পেলেন ৬০ কিশোর

১৮

চট্টগ্রাম বন্দরে যানবাহনে বাড়তি মাশুল স্থগিত

১৯

জামায়াতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক স্ট্যাটাস নাহিদের

২০
X