চট্টগ্রামে মন্দির রক্ষায় মাঠে নেমেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। দিন ও রাত জেগে পাহারার পাশাপাশি কীভাবে সংকট দূর করা যায় সে বিষয়ে করা হয়েছে মতবিনিময় সভাও।
জামায়াত নেতারা বলছেন, চট্টগ্রামের মন্দিরগুলোতে নাশকতার পরিকল্পনা হচ্ছে এমন খবর পেয়েই মাঠে নামানো হয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শনিবার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক কাউন্সিলর ও নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীর নির্দেশনায় পাঁচলাইশ এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে পাহারা দিয়েছেন জামায়াত নেতারা। এ সময় বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনের পাশাপাশি মন্দিরের তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী কালবেলাকে বলেন, চট্টগ্রামে মন্দিরগুলোতে হামলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরেই পাঁচলাইশ এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে পাহারা দিচ্ছি আমরা। দলীয় নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে রাত-দিন পাহারা দেওয়ার জন্য।
এদিকে একই দিন বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কাতালগঞ্জ নব পন্ডিত বৌদ্ধ বিহার, করুনাময়ী কালী বাড়ি ও রাধামাধব মন্দির পরিদর্শন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এ সময় হেলাল উদ্দিন বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও উপাসনালয়গুলোতে হামলার অপচেষ্টা করে। বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হলেও ভিন দেশীয় ইন্ধনে তাদের প্রেতাত্মা ও দোসররা নানারকম চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নাশকতা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে দায়ী করার ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, নব পন্ডিত বিহারের অধ্যক্ষ ড. উপানন্দ মহাথের, তরুণ দাস গুপ্ত ভানু, বিপ্লব চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু রাজিব ধর তমাল, মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, সদস্য সচিব বাপ্পী দে, যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন দাস, রিপন দাশ, জীবন মিত্র, সুকান্ত মজুমদার।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা সিহাব উদ্দিন মোবিন, শওকত আজম খাজা, সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, মো. ইদ্রিস আলী, এমএ হালিম বাবলু, জাফর আহমেদ, আসিফ চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আলম শিপু, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।