কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কুড়িগ্রামে বন্যা-খরায় পাটের আবাদে ব্যাপক ক্ষতি

কুড়িগ্রামে পাটে জাঁক দিচ্ছেন পাটচাষিরা। ছবি : কালবেলা
কুড়িগ্রামে পাটে জাঁক দিচ্ছেন পাটচাষিরা। ছবি : কালবেলা

খরা, অতিবৃষ্টি ও বন্যা কুড়িগ্রামের কৃষিতে মারাত্মক আঘাত হেনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাট, আমন বীজতলা, শাকসবজি ও আউশসহ বিভিন্ন ফসলের হাজার হাজার হেক্টর জমির আবাদ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের পাটের আবাদ। জেলায় এবার কৃষিতে ১০৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যার অর্ধেকেরও বেশি পাটে।

ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও জিঞ্জিরাম এই পাঁচ আন্তঃসীমান্ত নদীসহ ১৬ নদনদীর জেলা কুড়িগ্রাম। যার ফলে বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখানে লেগেই থাকে। এবার এপ্রিল ও মে মাসে বৃষ্টি হয়নি, ছিল খরা। এরপর পুরো জুন মাসে ধরে অতিবৃষ্টি হয়েছে, যার পরিমাণ ১ হাজার ১০০ মিলিমিটার বলে জানিয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস। এর পরই জুলাইয়ের প্রথম থেকে শুরু হয়েছে বন্যা। দুই সপ্তাহ ধরে বন্যা চললেও এখন পর্যন্ত নিম্নাঞ্চল থেকে পুরোপুরি পানি সরে যায়নি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ১৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও খরার কারণে তা অর্জিত হয়নি। আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ২৫৬ হেক্টর জমিতে। এরপর অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ২ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমির পাট সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে ডুবে থাকায় অনেক জমির পাট গাছ মরে গেছে। চাষিরা সেই পাট গাছ কেটে এনে পাটখড়ি হিসেবে ব্যবহারের জন্য শুকাচ্ছেন। কিছু কিছু চাষি পাট জাগ দিয়ে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। তবে যেসব ক্ষেত থেকে পাট পাওয়া গেছে তার উৎপাদন ও মান ভালো হয়নি। ফলে লাভ তো দূরে থাক আবাদের খরচ তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পাটচাষিরা।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ধরলার পাড় এলাকার রব্বানী নামের একজন বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে পাট কাটা হতো। এর মধ্যে বন্যায় পাট তলিয়ে সব গাছ মরে গেছে। এখন খড়ি করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই পাট কেটে খড়ির জন্য শুকাচ্ছি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান জানান, জেলায় এবার ২১ হাজার ৩৪৬ জন কৃষকের পাট উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজার ২৪০ টন, যা টাকার অঙ্কে ৫৬ কোটি টাকার মতো বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, নিম্নাঞ্চল থেকে বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রোপা আমন আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি দেরিতে নামলে আগাম রবি ফসল আবাদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু

‘ভূমিকম্পে যে ঝাঁকুনি হলো, তা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ’

ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান

যৌন হয়রানির ঘটনায় নিরাপত্তা প্রার্থনা / ক্রীড়া উপদেষ্টাকে এক শুটারের খোলা চিঠি

ভূমিকম্পে পুরান ঢাকায় রেলিং ধসে নিহত ৩ 

হঠাৎ ভূমিকম্প হলে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত, যা বললেন আজহারি

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে

পৃথিবীর সবচেয়ে বিধ্বংসী ১০ ভূমিকম্প

ওটিটিতে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ৩’, মনোজ বাজপেয়ীর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

১০

যুক্তরাজ্যে ভয়াবহ বিপর্যয়, শত শত স্কুল বন্ধ

১১

প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল

১২

স্মার্টফোনে ভূমিকম্পের অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করবেন যেভাবে

১৩

যেসব কারণে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয় 

১৪

মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতলেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ

১৫

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

১৬

ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যায় ৪১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৯

১৭

টি-টোয়েন্টিতে নতুন ইতিহাস লিখলেন সিকান্দার রাজা

১৮

দীর্ঘ বিরতির পর ফিরছেন মোনালি ঠাকুর

১৯

মিস ইউনিভার্সের নাম ঘোষণা 

২০
X