মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান রয়েছেন বলে সকাল থেকেই গুজ্জন উঠেছে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ওই হোটেলে গিয়ে তল্লাশি করে জানতে পারে বিষয়টি গুজব।
এদিকে শামীম ওসমান গ্র্যান্ড সুলতানে রয়েছেন বলে গুজব উঠার পর থেকে এর আশপাশে বিভিন্ন শ্রেণির উৎসুক জনতা ভিড় জমান। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম সেখানে গিয়ে হোটেলের প্রবেশ পথ ও আশপাশ ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গ্র্যান্ড সুলতানে তল্লাশি করে সেখানে শামীম ওসমানকে পাওয়া যায়নি।
এ দিকে শামীম ওসমানের থাকার গুজবে কান দিয়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে সেখানে যান শ্রীমঙ্গল পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া। হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, এখানে কেউ নেই এসব গুজব। আপনারা চলে যান। অযথা ভিড় করবেন না। পরে সবাই চলে যায়। আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাবেন না।
ওই হোটেলের ব্যবস্থাপক আরমান খান বলেন, শামীম ওসমানের থাকার বিষয়টি গুজব। আমাদের রিসোর্টটি একটি অরাজনৈতিক ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি পাঁচতারকা রিসোর্ট। যা কি না সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ও পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করেছে। দেশবাসী সেটা জানেন। বর্তমানে বাংলাদেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কিছু মহল বিচার বিবেচনা না করেই উসকানি মূলক কিছু পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছে। যা কি না পর্যটন খাত তথা গ্র্যান্ড টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাব আপনারা যেন কোনো কিছু না জেনে না বুঝে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেশের পর্যটন শিল্প ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ব্যাপারে পর্যটনশিল্প রক্ষার্থে বর্তমান সরকারকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় বলেন, আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনী গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে গিয়ে তল্লাশি করেছি। এখানে শামীম ওসমান থাকা নিয়ে যে গুজ্জন উঠেছিলে তা সম্পূর্ণ গুজব। কিছু মানুষ গ্র্যান্ড সুলতানের আশপাশে জড়ো হয়েছিল তাদের আমরা সরিয়ে দিয়েছি। এখন স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।
মন্তব্য করুন