শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পালিয়ে যাওয়া বন্দি আত্মসমর্পণ করতে চাইলে অপেক্ষা করতে বলেন কর্তৃপক্ষ

খোলা জায়গায় বসে অফিস করছেন শেরপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। ছবি : কালবেলা
খোলা জায়গায় বসে অফিস করছেন শেরপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। ছবি : কালবেলা

শেরপুর জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া কয়েকজন বন্দি আত্মসমর্পণ করতে চাইলে অপেক্ষা করতে বলেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে জেলা কারাগারে হামলার ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৫ আগস্ট) জেলার (ভারপ্রাপ্ত) লিপি রানি সাহা বাদী হয়ে ১০-১২ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। শেরপুর জেলসুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা জেলা কারাগার ঠিক করতে এক মাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে জেলা গণপূর্ত বিভাগ। এতে কারাগারের বিভিন্ন মালপত্রসহ তিন কোটি টাকার বেশি সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও লুট হয়েছে ৯টি অস্ত্র। যার মধ্যে ৫টি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।

কারাগার কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ১০-১২ হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা, রামদা, দেশি অস্ত্র নিয়ে কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা বন্দিদের ওয়ার্ড ভেঙে তছনছ করে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের হামলার মুখে কারারক্ষীরা অসহায় হয়ে পড়েন।

এ সময় কারাগারের ৫১৮ জন বন্দি পালিয়ে যান। হামলাকারীরা কারাগারের ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, চায়নিজ রাইফেলের ৮৬৪টি গুলি, শটগানের ৩৩৬টি গুলি ও কারাবন্দিদের জন্য মজুত করা খাদ্যসামগ্রীসহ টাকা-পয়সা লুট করেন। সেইসঙ্গে কারাগারের প্রশাসনিক ভবনসহ মূল্যবান রেকর্ডপত্র, গাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, শেরপুর জেলা কারাগার ভাঙচুরের পরে কারা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমরা কারাগার সংস্কারের প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করেছি।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আনুমানিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু কাজ দ্রুত করে দেওয়া হবে। আবার কিছু কাজ করতে সময় লাগবে। কয়েদিদের থাকার সেলগুলো আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে প্রশাসনিক ভবন, কারারক্ষীদের ব্যারাক, কারাধ্যক্ষের বাসভবন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেগুলো সংস্কার করতে অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে।

এ বিষয়ে শেরপুর জেলা কারাগারের জেলসুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান বলেন, ঘটনার দিন কারাগারে আটক ৫১৮ বন্দি পালিয়ে গেছে। তবে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যাওয়া বন্দি আমাদের সঙ্গে আত্মসমর্পণের জন্য যোগাযোগ করেছে। কারাগারে থাকার ব্যবস্থা, খাবারের ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়াও কারাগার থেকে লুট হওয়া ৯টি আগ্নেয়াস্ত্রের ৫টি উদ্ধার হয়েছে। সেগুলো সেনাবাহিনীর হেফাজতে আছে। কারাগারের কার্যক্রম দ্রুত চালু করতে সংস্কার কাজের জন্য শেরপুর গণপূর্ত বিভাগ এবং আসামি-কয়েদিদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন দপ্তরে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুর্গাপূজা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে উদ্বেগ ঐক্য পরিষদের 

মিয়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৪০

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১০

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

১১

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

১২

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১৩

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১৪

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১৫

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১৬

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৭

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৮

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৯

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

২০
X