টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

চিকিৎসার অভাবে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আন্দোলনে আহত মতিয়ুর

গুলিতে আহত মতিয়ুর। ছবি : কালবেলা
গুলিতে আহত মতিয়ুর। ছবি : কালবেলা

চিকিৎসার অভাবে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত টাঙ্গাইলের মতিয়ুর। সাভারে এক বেকারিতে কারিগর হিসেবে কাজ করতেন তিনি।

দেলদুয়ার উপজেলার সেলিমপুর ইউনিয়নের সিংহরাগী গ্রামের মজিদ তালুকদারের ছেলে মতিয়ুর।

জানা গেছে, ছোট এক ভাই, স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার। সংসারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যক্তি তিনি। তার এই দুঃসময়ে কেউ পাশে না দাঁড়ানোয় চরম হতাশা প্রকাশ করছেন। ভবিষ্যতে কীভাবে চলবে তার সংসার এ নিয়ে অনিশ্চয়তা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাবা-মা হারা মতিয়ুর চিকিৎসার অভাবে বাড়িতে বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ডান পায়ের রানে গুলি লাগে তার। অভাবের সংসারে ব্যথানাশক ওষুধ কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার। ফলে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না পরিবার।

৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাভার থানার সামনে পুলিশ বন্দুক নিচে রেখে আত্মসমর্পণ করে। এ সময় ছাত্ররা আনন্দ করতে থাকলে পুলিশ একপর্যায়ে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। সেই গুলিতে আহত হন মতিয়ুর।

গুলিবিদ্ধ মতিয়ুর বলেন, পুলিশের গুলি আমার কোমরের নিচে লাগলে প্রথমে মনে হলো, আমাকে কেউ ঢিল মেরেছে। কোমরে হাত দিলে রক্ত দেখতে পাই। তারপর আমি অচেতন হয়ে পড়ি। একপর্যায়ে আমার সঙ্গে থাকা সহকর্মী এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে আমার যথাযথ চিকিৎসা হয়নি। চিকিৎসার ৬ দিন পর টাকার অভাবে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে আসি। বাড়িতে ছোট মেয়ে-স্ত্রীকে নিয়ে টানাটানির সংসারে ধার-দেনা করে ব্যথানাশক ওষুধ কিনে খাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমার বাবার রেখে যাওয়া ছোট একটি ভিটেবাড়িতে স্ত্রী কন্যাসহ ছোট ভাইকে নিয়ে থাকি। বড় পরিসরে উন্নত চিকিৎসা করাতে হলে বাবার রেখে যাওয়া বাড়িটি বিক্রি করতে হবে। কেউ যদি আমাকে আর্থিক সহায়তা করে তাহলে আমি চিকিৎসা করে সুস্থ হতে পারব।

গুলিবিদ্ধ মতিয়ুরের স্ত্রী নারগিস বলেন, আমার স্বামী যেদিন শুনলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সেদিন বাড়ির পাশের ভাবির কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ধার নিয়ে চলে যাই। ডাক্তার বলেছেন তার দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা দরকার। ধার-দেনা করে যতদূর সম্ভব করেছি। এখন পর্যন্ত কোথাও থেকে সহায়তা পাইনি।

সেলিমপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজা বলেন, আমার এলাকার বাবা-মা হারা অসহায় ছেলে মতিয়ুর। তার বাবার রেখে যাওয়া বাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই। তার এই বিপদে বাড়ি বিক্রি ছাড়া উপায় নেই। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এ মুহূর্তে সহায়তা করার কোনো পরিস্থিতি নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ন্যায় ও আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করতে হবে : বাবর

ফিল্মফেয়ারে রেকর্ড গড়ল ‘লাপাতা লেডিস’

কলকাতায় অমিতাভের জন্মদিনে চল্লিশা পাঠ

বায়ুদূষণের শীর্ষ পাঁচে ঢাকা

বিএনপির ৩১ দফা দেশের মানুষকে বাঁচানোর রূপরেখা : রাশেদুল আহসান

আফগানিস্তানের ১৯ সীমান্তপোস্ট দখল করেছে পাকিস্তান

দল কমলেও বিপিএলে বাড়ছে ভেন্যু

লন্ডনে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখে যা বললেন রোজিনা

হঠাৎ কেন আফগান সীমান্তে হামলা চালাল পাকিস্তান

যুবদল নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার

১০

ইসরায়েলকে উড়িয়ে দিল নরওয়ে

১১

কারিনার রাগ সামলানোর উপায় জানালেন সাইফ

১২

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহছানুল হক

১৩

হলুদ রঙে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুলেছে বন লবঙ্গ

১৪

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনারস আয়োজনে ‘ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত

১৫

ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ

১৬

গোল করে, করিয়ে দলকে জেতালেন মেসি

১৭

জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১৮

বিএনপিতে সন্ত্রাসী-দুষ্কৃতকারীদের জায়গা নেই : বিজিএমইএ সভাপতি 

১৯

অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপ / বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

২০
X