মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রংপুরে দুই প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর বছির উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ-মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা
রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর বছির উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ-মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা

রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসাপ্রধানদের দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৫ আগস্ট) উপজেলার দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপজেলার মির্জাপুর বছির উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমন এবং তরফসাদী খায়ারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার আক্কাস আলীর পদত্যাগের দাবি জানান শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

বছির উদ্দিন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী গালিব ইসলাম বলেন, সম্প্রতি দুর্নীতিবাজ এ অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৮টি নিয়োগে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শিগগিরই এই দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করছি।

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী হযরত আলী বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক এতটাই দুর্নীতিবাজ তিনি দায়িত্বে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে তার পদত্যাগ দাবি করছি। নয়তো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন এ শিক্ষার্থী।

বছির উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমন বলেন, আমি যে দুর্নীতি করেছি সেটা প্রমাণ সাপেক্ষ ব্যাপার। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সারা দেশের মতো এ প্রতিষ্ঠানেও বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে।

এদিকে, তরফসাদী খায়রুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুপুরে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তরফসাদী খায়রুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার আক্কাস আলী বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসায় বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে ডোনেশনের নামে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি মাদ্রাসার কোনো উন্নয়ন না করে সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা শিগগিরই তার পদত্যাগ চাই।

এ ব্যাপারে তরফসাদী মাদ্রাসার সুপার আক্কাছ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, এখনো এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এমন কিছু পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পুকুরপাড়ে পড়ে ছিল নারী গ্রাম পুলিশের মরদেহ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিল ইন্দোনেশিয়া

কবে বিদায় নিতে পারে বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বন্ধ যান চলাচল

ওয়ার্ল্ড টেনিস ট্যুর জুনিয়রে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের জারিফ

সাত রুটে অস্ত্র ঢুকছে বাংলাদেশে

এপেক্স ফুটওয়্যারের মেইনটেনেন্স বিভাগে চাকরির সুযোগ

শিশুদের ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত মাদ্রাসাছাত্র মাহবুব

ছেলের সঙ্গে কেক কেটে অপুর জন্মদিন উদ্‌যাপন

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস আজ

১০

টেরিটরি সেলস অফিসার পদে এসএমসিতে চাকরির সুযোগ

১১

বিএনপি রাজনীতি করে মানুষের মুখে হাসি ফোটানো জন্য : ডা. শামীম 

১২

স্বামীকে কিডনি দিতে এক মুহূর্তও দেরি করলেন না তরুণী

১৩

গুলশানে ডাক পেলেন পটুয়াখালী বিএনপির ৪ নেতা

১৪

৫ পদে একাধিক নিয়োগ দিচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর

১৫

অনূর্ধ্ব-২০ দল / ৭ ফরোয়ার্ড নিয়ে শক্তিশালী দল ঘোষণা ব্রাজিলের

১৬

মারিয়া কোরিনা কি নিজ ভুবনে শান্তিতে আছেন?

১৭

জ্বালানি ঘাটতির জন্য রাজনীতিবিদরাও দায়ী : ফাওজুল কবির

১৮

উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের কারও সেফ এক্সিটের দরকার নেই : আসিফ নজরুল

১৯

নতুন চমক নিয়ে ফিরছে ‘বাহুবলী থ্রি’

২০
X