সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক রাতে ৫টি ট্রান্সফরমার এবং ৫টি মিটার চুরি হয়েছে। এতে ছয়টি সেচপাম্প, রাইস মিল এবং পাওয়ারলুম বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসীর এই ট্রান্সফরমার চুরির পেছনে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের গাড়াবাড়ী এবং নূর নগর গ্রামে রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে এই মৌসুমে বিদ্যুৎ সংকটে পানি দিতে পারছে না অত্র অঞ্চলের বেশকিছু কৃষক।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, রাতে ট্রান্সফরমার চুরি যাওয়ার সময় রাত ১০টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। অনেকেই এই ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন জড়িত আছে বলে অভিযোগ করছেন।
স্থানীয় প্রজেক্ট মালিক আবুল কাশেমের ছেলে রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে ট্রান্সফরমার নেই। এখানে প্রায় তিনশত কৃষকের পাঁচশত বিঘার বেশি জমি রয়েছে। চোরদের উদ্দেশ্য ছিল দেশে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করা। অফিস থেকে রাত দশটার পরে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক হারুন ইসলাম বলেন, আমার এখানে জমি আছে। যদি এই সময় সেচ না দিতে পারে তাহলে আমাদের ফসলের ক্ষতি হয়ে যাবে। এই ট্রান্সফরমার কবে আসবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এ বিষয়ে কামারখন্দ সাব-জোনালের এজিএম মুক্তার হোসেন বলেন, ট্রান্সফরমার চুরি হলে আমাদের যে সরকারের নীতিমালা আছে সেই অনুযায়ী নিতে হবে। বর্তমান শেচ নীতিমালায় শতভাগ মূল্য দিয়ে ট্রান্সফরমার নিতে হবে। যদি রাতে বিদ্যুৎ রাতে না থাকে তাহলে তারা অভিযোগ করল না কেন। যাদের ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে তারা যদি টাকা না জমা দেয় তাহলে তারা ট্রান্সফরমার পাবে না। আমাদের অফিস থেকেও কিনতে পারে অথবা বাইরে থেকেও কিনতে পারে।
মন্তব্য করুন