কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ দিচ্ছে রোহিঙ্গারা

বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন রোহিঙ্গারা। ছবি : কালবেলা
বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন রোহিঙ্গারা। ছবি : কালবেলা

দেশের ফেনী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং, পালংখালী, বালুখালীসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা মাঝিদের (নেতা) নেতৃত্বে নগদ টাকা ও চাল সংগ্রহ করে জমানোর পর ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়া হবে। এমন তথ্য জানিয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহে কাজ করা রোহিঙ্গা যুবক ওসমা ইব্রাহিম। আর সাধারণ রোহিঙ্গারাও উৎসাহ নিয়ে যে যার মতো করে নিজেদের পাওয়া ত্রাণের একটি অংশ তুলে দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমরা যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেই, তখন বাংলাদের মানুষ আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিয়েছে। মানুষ বিপদে পড়েছে। তাই আমাদের ভাইদের জন্য আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। বিভিন্ন ক্যাম্পের হেড মাঝিদের নেতৃত্বে তাদের অধস্তন মাঝিরা নগদ টাকা ও চাল সংগ্রহ করে জমা করছেন। পরে মুরব্বিদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে সংগৃহীত এসব ত্রাণ ও নগদ টাকা তুলে দেওয়া হবে।

ত্রাণ সংগ্রহের বিষয়ে রোহিঙ্গারা জানান, কোনো সংগঠনের পক্ষে বা নেতৃত্বে নয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি (নেতা) এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার মুহতামিমসহ সাধারণ রোহিঙ্গাদের যৌথ উদ্যোগে এসব ত্রাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘরে ঘরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের জন্য এসব সংগ্রহ করছেন তারা। সাধারণ রোহিঙ্গারা টাকা, চাল দিয়ে সহযোগিতা করছেন।

বি ব্লকের হেড মাঝি আবু হাসিম বলেন, সোমবার (২৬ আগস্ট) থেকে আমরা ত্রাণ সংগ্রহ শুরু করেছি। এখন প্রায় ৫০ বস্তা চাল আমার ব্লক থেকে এসেছে। ইনশাআল্লাহ আরও আসবে।

মারকাযুল মাআরিফ মাদ্রাসার পরিচালক মওলানা ইলিয়াস বলেন, আমরা ২০১৭ সালের কথা ভুলতে পারি না। এরপূর্বেও রোহিঙ্গারা যখন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তখন বাংলাদেশের মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলমত নির্বিশেষে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখন বাংলাদেশের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কবলে পড়েছে। তাই আমাদের ত্রাণ থেকে আমরা যতটুকু পারি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। আমাদের ক্ষুদ্র চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদ্রাসা বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুর পরিচালক মওলানা রহমত করিম বলেন, রোহিঙ্গাদের আয়ের কোনো উৎস নেই। রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সহযোগিতায় বেঁচে আছে। আমরা নিজেদের ত্রাণ থেকে যতটুকু পারি বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। যতদিন বাংলাদেশের মানুষ বন্যার দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাবে না ততদিন আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এ দেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের জন্য অনেক কিছু করেছে, সে তুলনায় আমরা যা পারি চেষ্টা করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হচ্ছে না ‘রাউডি রাঠোর ২’

নিজের বিয়ে নিয়ে বিভ্রান্তি কাটালেন তানজিদ তামিম

টেলিকম প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে গোয়েন্দা নজরদারির গোমর ফাঁস

‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামের উন্নয়নে কাজ করবে বাফুফে’

সাদাপাথর লুটপাটে জড়িতের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হবে : সিলেটের ডিসি 

প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দিলেন মেঘ

মোটরযানমুক্ত আধুনিক শহর, দেখেই চোখ জুড়ায় (ভিডিও)

জিলানীর শরীরে রয়ে যাওয়া ‘পিলেট’ অপসারণ করলেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক রফিক

গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্তে আসতে হবে : আখতার 

৫ কাজ করতে পারবেন না ডাকসুর প্রার্থীরা

১০

ধেয়ে আসছে অতি ভারী বৃষ্টিবলয় ‘স্পিড’, কবে কোথায় প্রভাব ফেলবে

১১

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার

১২

ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ

১৩

সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর

১৪

৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

১৫

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

১৬

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

১৭

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

১৮

কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৯

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

২০
X