বরিশাল নগরীর কাশিপুরে কম দামে কাঁচামরিচ বিক্রি নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে দু’জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এতে তাৎক্ষণিক একজন মারা যান। পরবর্তীতে রোববার (৩০ জুলাই) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্বশেষ আরও একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- কামাল হোসেন (৩৮) ও আলমগীর হোসেন।
এর মধ্যে আলমগীর হোসেন (৪০) নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড দিয়াপাড়া দিঘির পাড় এলাকার তিনু মাঝির ছেলে। তিনি কাশিপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা।
নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ হোসেন বলেন, কাশিপুর বাজারের সামনে কম দামে সবজি ও কাঁচামরিচ বিক্রি করছিল সোহেল রানা। বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে মারামারি ও ছুরিকাঘাতে ৬ থেকে ৭ জন আহত হয়।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে কাশিপুর বাজারে কম দামে মরিচ বিক্রি করায় বিক্রেতা ও সাবেক সেনা সদস্য সোহেল রানার সঙ্গে বাজারের সবজি বিক্রেতাদের দ্বন্দ্ব হয়। এতে বাজারের সবজি বিক্রেতারা কয়েকজন মিলে বেধড়কভাবে মারধর করে তাকে। একপর্যায়ে সোহেল রানা বস্তা কাটা ছুরি দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। তার এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে কামাল হোসেন (৩৮) নিহত হন। এ সময় আরও চারজন জখম হয়। ঘটনার পর সোহেলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে তুলে দেন।
পরে আহতদের মধ্যে আলমগীর হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মৃত আলমগীরের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) ও অপর ভাই জয়নাল আবেদীন (৩৫) এবং আব্দুল মালেক (৬০) বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, কামাল হোসেন ছাড়াও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীরের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, শনিবার সকালে মারা যাওয়া কালামের স্ত্রী মাহফুজা বেগম ওইদিনই রাতে এয়ারপোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছুরিকাঘাতকারী সোহেল রানাকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। সোহেল বর্তমানে পুলিশি প্রহরায় বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন