মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাড়ি গিলে খেল ধলিয়া খাল, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

ধসে গিয়ে ধলিয়া খালে বিলীন হয়ে যাওয়া একটি বাড়ি। ছবি : কালবেলা
ধসে গিয়ে ধলিয়া খালে বিলীন হয়ে যাওয়া একটি বাড়ি। ছবি : কালবেলা

সম্প্রতি ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার ধলীয়া খালের তীরবর্তী চৌধুরী পাড়া (ট্রাক অফিসের পেছনে) এলাকায় ভাঙনে বসত ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে চরম হতাশায় দিন কাটছে স্থানীয়দের।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একটি ভবনের ৫টি কক্ষ সম্পূর্ণভাবে ধসে গিয়ে ধলিয়া খালে বিলীন হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ভবনের মালিক মো. শাহাজাহান। তিনি দুই বছর আগে নিজের সঞ্চিত অর্থ ব্যয়ে শখ করে বাড়ি নির্মাণ করে স্বপরিবারে এ এলাকায় বসবাস করেন।

শাহাজাহান একজন প্রবাসী, তিনি আক্ষেপ করে ওইদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, সবাই তখনো ঘুমে ছিলাম ক্রমাগত বৃষ্টি, আমার জীবদ্দশায় এমন বৃষ্টি এবং পানি দেখিনি। রাতে ঘুমাতে পারিনি সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি দেয়ালে ফাটল ধরেছে। মুহূর্তের মধ্যেই পরিবারের অন্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার পরপরই নিজের চোখের সামনে স্বপ্ন ভেঙে যায়। তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। ঘরে থাকা যাবতীয় মালামাল সরানোর সময় পাইনি। দূর থেকে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই করার ছিল না। শখের বাড়িটি গিলে খেল ধলিয়া খালে।

বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে আমার, এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লেগে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতি যা হওয়ার তো হয়ে গেছে ভবিষ্যতে যেন এমন ক্ষতি না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

জানা যায়, এ এলাকায় ধলীয়া খালের পার্শ্ববর্তী প্রায় ৩০টি পরিবারের বসবাস সবাই ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। প্রতিটা পরিবারের বসত বাড়ির কিছু না কিছু অংশ ধলিয়া খালে বিলীন হয়ে গেছে। যখন বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হয় তখন শঙ্কায় ও ভয়ে রাত কাটে তাদের।

ওই এলাকার ওহাব মিস্ত্রী নামে একজন বলেন, এ এলাকায় প্রতি বছর ধলীয়া খাল ভাঙন হয়। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রক্ষা পেত নদীর সীমান্ত ও তৎসংলগ্ন বসবাসকারী লোকজন।

সেলিম নামে আরেকজন জানান, এমন ভাঙন দেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। ভাঙন ঠেকাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এ পরিবারগুলো নিরাপদে বসবাস করতে পারত।

মাটিরাঙ্গার ইউএনও ডেজী চক্রবর্তী বলেন, ধলীয় নদীর খুব কাছাকাছি বসবাসরত লোকদের সাবধানে বসবাস করতে হবে। বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে নিরাপদ স্থান নির্বাচন করে তা নির্মাণ করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খুলনায় চলছে ৮ দলের সমাবেশ

সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে স্পিডবোট ডুবি, মা-মেয়ের মৃত্যু

মেট্রোরেলের যাত্রী কমলো ১০ শতাংশ : ডিএমটিসিএল এমডি

‘মানসিক চাপ’ উল্লেখ করে এনসিপি ছাড়লেন রাঙামাটির প্রধান সমন্বয়ক

পূর্বাচলে শেখ রেহানার প্লট বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশ আদালতের

বোট উল্টে নদীতে ৫২ যাত্রী

ওজন কমাতে ভাত-রুটি ছাড়তে হবে কি না, বলছেন বিশেষজ্ঞ

সড়ক নিরাপত্তা আইন জরুরি, বছরে ৫ হাজারের বেশি প্রাণহানি

হাসিনা-টিউলিপ পৃথিবীর যেখানেই থাকুক বিচারে বাধা নেই : বিচারক

ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও

১০

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

১১

‘ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে শেখ হাসিনা’

১২

শীত কখন জেঁকে বসতে পারে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

১৩

কেন প্রকাশ্যে কেঁদেছিলেন অক্ষয়?

১৪

আর্জেন্টিনায় গুনে গুনে ৭ গোল দিল ব্রাজিল

১৫

১৯ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন গ্রেপ্তার

১৬

টিউলিপের ২ বছরের কারাদণ্ড, যা বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে

১৭

স্বর্ণপদকজয়ী জাতীয় পর্যায়ের বডিবিল্ডারকে পিটিয়ে হত্যা

১৮

গাজীপুরে ঝুট গোডাউনে আগুন

১৯

ক্ষমতায় গেলে সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ গড়বে বিএনপি : ফখরুল

২০
X