কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছেন না গুলিবিদ্ধ সিফায়েত

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মো. সিফায়েত চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মো. সিফায়েত চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শিক্ষার্থী মো. সিফায়েত চৌধুরী (২৬)। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিফায়েতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর তাকে নেওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। পরবর্তী সময়ে টাকার অভাবে পুরোপুরি সুস্থ না হয়ে ৩০ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে সিফায়েতকে নিয়ে আসে তার পরিবার।

ওষুধ শেষ হয়ে গেছে, টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না উল্লেখ করে সিফায়েতের বড় ভাই রুবেল চৌধুরী বলেন, এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয় সিফায়েত। সুস্থ হতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু আমরা আর্থিক সমস্যার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছি না। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা সিফায়েতের উন্নত চিকিৎসার দাবি জানাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সিফায়েতের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট নবীনগরে আন্দোলনে গিয়েছিলাম, আরও অনেক লোক ছিল। আন্দোলনে পুলিশ ছররা গুলি মারছে। পরের কিছু মনে নাই।

সিফায়েতের মেজ ভাই বলেন, জুলাইয়ের ১৫ তারিখে ঢাকা যায় সিফায়েত। ৫ আগস্ট হঠাৎ একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, আন্দোলন গিয়ে সিফায়েত মারা গেছে। তিনি ঢাকায় গিয়ে দেখেন, সিফায়েতের চার থেকে ৫টি গুলি লেগেছিল, অপারেশন করে তা বের করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে দামি ওষুধপত্র অধিকাংশই নিজেদের কিনতে হয়েছে। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসা হয়। কিন্তু ঢাকায় থাকা-খাওয়া ও টুকটাক ওষুধপত্র কেনার খরচ বহন করতেই তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। এখন আর সিফায়েতের চিকিৎসা ব্যয় টানার মতো সক্ষমতা তাদের নেই।

সিফায়েতের পরিবার সম্পর্কে জানা যায়, আসাদ চৌধুরী ও মরজিনা বেগমের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সিফায়েত। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। বড় দুই ভাই মসজিদে ইমামতি করে কোনোমতে সংসার চালান। ভাইদের সহযোগিতা ও টিউশনি করেই এত দিন পড়ালেখা চলেছে সিফায়েতের। ডিগ্রি শেষ করে গত ১৫ জুলাই ঢাকায় উঠেছিলেন বড় বোনের বাসায়। উদ্দেশ্য ছিল মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া ও চাকরির চেষ্টা করা।

এলাকার ছেলে সিফায়েত আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় উল্লেখ করে পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় চিকিৎসা হলেও সে পুরো সুস্থ হয়নি। তার আরও চিকিৎসার প্রয়োজন। তাদের আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘জয় বাংলা’ গানের সঙ্গে টিকটক ভিডিও বানিয়ে পোস্ট, কলেজছাত্র গ্রেপ্তার

দশ মাসে রাজধানীতে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড : ডিএমপি

বিদেশি তরুণীকে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব-অশালীন আচরণ, যুবক গ্রেপ্তার

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে এভারকেয়ার হাসপাতালের র‍্যালি 

মারা গেলেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

এবার পিএসজির কাছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি এমবাপ্পের

ভারতীয়দের জন্য দুঃসংবাদ!

মাগুরায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন, পুড়ে গেছে কাগজপত্র

উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ১

আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ—কোথায় কোনটা পড়বেন? জেনে নিন

১০

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া দর্শকদের জন্য সুখবর

১১

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই গ্রেপ্তার

১২

আনসার বাহিনীর জন্য কেনা হবে ১৭ হাজার শটগান : অর্থ উপদেষ্টা

১৩

আল্লাহ ন্যায়বিচার করছেন : শহীদ জসিমের বাবা

১৪

যুবদল নেতা কিবরিয়াকে হত্যা, যা বললেন স্বজন ও স্থানীয়রা 

১৫

সকালে গোসল করা ভালো, নাকি রাতে

১৬

বার্সার ক্যাম্প ন্যু উদ্বোধন নিয়ে নতুন বিতর্ক

১৭

গণভোটের ব্যালটে যেসব প্রশ্ন থাকবে, জানাল সরকার

১৮

বিকেএসপিতে সিজিএস টাইপ-এ প্রমোশনাল সেমিনার অনুষ্ঠিত

১৯

২৮ বছর পর বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেন দিনমজুর নূর ইসলাম

২০
X