গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মামলা করে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন কৃষক রেজাউল। প্রতিবেশী কর্তৃক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পলাশবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের উত্তর সাবদিন গ্রামের আ. জলিলের ছেলে কৃষক রেজাউল করিম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১০ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে ওই গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে প্রতিবেশী এমদাদুল হক ও তার দুই ছেলে হাসান ও হুসাইন মিয়ার সঙ্গে পারিবারিক কথার্বাতাকে কেন্দ্র করে দলবদ্ধ হয়ে তার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় আমার মামা আ. রহমান ও আমার মামি মমেনা বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরও ব্যাপক মারপিট করে। আমাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের কোলজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষরা আমাদেরকে মারপিটসহ ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপরেও পুনরায় প্রতিপক্ষগণ আমাকেসহ পরিবারের লোকজনকে মারপিটের চেষ্টাসহ ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন সেনাবাহিনীর টহল টিমকে খবর দেয়।
পরে সেনাবাহিনীর টহল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সাড়ে ১১টা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এমদাদুলের ছেলে হুসাইন মিয়াসহ আমাকে থানায় নিয়ে যায়। আমি থানায় একটি এজাহার দাখিল করি। এজাহার দাখিলের পর থেকে প্রতিপক্ষরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি-ধমকিসহ আমার দুই ছেলের সরকারি চাকরি খাবে এবং এলাকায় দেখা মাত্র মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপরও প্রতিপক্ষরা ক্ষান্ত না হয়ে আমাকেসহ আমার দুই ছেলের নামে এমদাদুল একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন কৃষক মানুষ। বতর্মানে ওদের ভয়ে আমি এখন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি। ওই এমদাদুল হক (সাবেক ইউপি সদস্য) তার ছেলেদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে থানায় মামলা রয়েছে। আমি সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই এবং আমরা যাতে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারি ও বাড়িতে থাকতে পারি সেজন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
মন্তব্য করুন