বরগুনার পাথরঘাটায় এক স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠে রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির দুই ছেলের বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে প্রথমে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক রেজাউল কবিরকে রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. কালাম মিয়ার দুই ছেলে রাকিব ও শাকিবের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন মিলে চেয়ার দিয়ে মারধর করে।
এ বিষয়ে শিক্ষক রেজাউল কবির বলেন, আমার মেয়ে মোসা. শান্তা ইসলামকে (১৫) ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি নয়ন (১৯) নামের একটি ছেলে অপহরণ করে। এর পাঁচ দিন পর মহিপুর থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করি। নয়নের নামে অপহরণের মামলা দায়ের করি।
নয়ন রায়হানপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আব্দুস সালামের ছেলে।
সেই থেকে নয়ন আমাকে হুমকি দিচ্ছিল। এর আগে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে চেষ্টা করেছে আমাকে দিয়ে মামলা ওঠানোর জন্য। সরকার পতনের পর রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ছেলেদের দিয়ে কয়েকবার আমাকে হুমকি দিয়েছে। কাকচিড়া বাজারে আমাকে একা পেয়ে মারধর করে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়।
ওই শিক্ষকের শ্বশুর এমাদুল হক বাশার বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে আইনের সাহায্য নিতে বলেছে। আমরা আইনের মাধ্যমে এর বিচারের দাবি করছি।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের ফোন দিলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন কালবেলাকে বলেন, আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন