চট্টগ্রাম নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে এলোপাতাড়ি মারধরে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল-আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সাদ্দাম নগরের বাকলিয়া এলাকার যুবলীগ নেতা। তিনি ভোলা জেলার চর ফ্যাশন থানার পশ্চিম এওয়াজপুর এলাকার মৃত আলী আজমের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ফৌজদারহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মো. শরীফ-উল-আলম বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নগরীর কোতোয়ালি এলাকায় অবস্থান করছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম (১৯)। ওই সময় বাকলিয়ার যুবলীগ নেতা সাদ্দামসহ আরও ২৫/৩০ জন দেশীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ওই এলাকার জুবলী রোডের আমতল মোড় সংলগ্ন অপর্ণাচরণ স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর অবস্থান নেওয়া ইব্রাহিমকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে ইব্রাহিম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় সাদ্দামসহ ৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে গত ৩০ আগস্ট ও ৫ সেপ্টেম্বর দুটি মামলা করেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুর কাদের চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে আইনি ব্যবস্থা শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী কিশোর গ্যাং নেতা মোহাম্মদ মিজানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত ১৭ ও ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ছোঁড়ে মিজান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই সময় অস্ত্র হাতে তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার ব্রাহ্মণপাড়া আবুল কালামের কলোনি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও মাদক আইনে সাতটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ ইয়াবা ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন