বগুড়ায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে যুবদল নেতা মেহেদী হাসান বাপ্পীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে শহরের ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া মেডিকেল ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক লালন হোসেন।
মেহেদী হাসান বাপ্পী বগুড়া শহর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি বগুড়া শহরের গন্ডগ্রাম এলাকার বুলু মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাপ্পী তার কয়েকজন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে শহরে দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। ঠনঠনিয়া বটতলা এলাকায় পেছন থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে যাওয়া দুর্বৃত্তরা বাপ্পীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বাপ্পীর সঙ্গে থাকা মিঠু ও মোমিন নামে যুবদলের দুই কর্মী আহত হন।
যুবদলের একটি সূত্র জানায়, গন্ডগ্রাম এলাকায় একটি টাইলস ফ্যাক্টরি থেকে তিন মাস পরপর পুরাতন বস্তা বিক্রি হয়। এত দিন পুরাতন বস্তা কেনাবেচা করতেন স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পুরাতন বস্তা কেনাবেচার নিয়ন্ত্রণ নিতে যায় যুবদলের নেতাকর্মীরা। সেখানে বাপ্পীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় যুবদলের সুরুজ গ্রুপের নেতাকর্মীদের, যার পরিপ্রেক্ষিতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিভিন্ন কাজ নিয়ে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সুরুজের সঙ্গে শহর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক বাপ্পীর দ্বন্দ্ব ছিল। এই নিয়ে গত ২১ আগস্ট সুরুজকে দল থেকে বহিষ্কার এবং বাপ্পীকে সতর্ক করা হয়েছিল। যারাই এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা লালন জানান, বাপ্পীর শরীরের একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তিনি শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।
বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহীম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থেকে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। যুবদল নেতাসহ আহত বাকি দুজনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন