লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লালমোহনে থেকেও ঢাকায় হত্যা মামলার আসামি

হত্যা মামলার আসামি সাংবাদিক মো. রুহুল আমিন। ছবি : কালবেলা
হত্যা মামলার আসামি সাংবাদিক মো. রুহুল আমিন। ছবি : কালবেলা

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর থেকে শেখ হাসিনা, এমপি-মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় আসামি হয়েছেন ভোলার সাংবাদিক মো. রুহুল আমিন।

ওই মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে মোহাম্মদপুর থানা এলাকার ময়ুর ভিলার সামনে ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের কচুয়াখালী এলাকার বাসিন্দা ও মোহাম্মদপুরের সিএনজিচালক সবুজ হত্যার শিকার হন। এরপর ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে তার বড় ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় ৪৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভোলার লালমোহন উপজেলার হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং জাতীয় দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার লালমোহন উপজেলা প্রতিনিধি মো. রুহুল আমিনকে।

অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন জানান, গত আগস্ট মাসে আমি ঢাকায়ই যায়নি। এ ছাড়া আমি কখনো কোনো রাজনীতি করিনি। তবে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং সাংবাদিকতা করার কারণে আমাকে সব দলের লোকজনের কাছেই যেতে হয়। আমার নামে ঢাকায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। অথচ ৪ আগস্টের আগে ও পরে আমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে লালমোহনেই ব্যস্ত সময় পার করেছি। মামলায় যে তারিখ এবং সময় উল্লেখ করা হয়েছে তখন আমি লালমোহনে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ছিলাম। আমার প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজেই তার প্রমাণ রয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করব; উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলায় যেন আমাকে হয়রানি না করা হয়। তবে যারা ওই ঘটনার সঙ্গে সত্যিই জড়িত, আমিও তাদের বিচার চাই।

মামলার বাদী মো. মনির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিনকে আমি চিনি না, শুধু তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম শুনেছি। মামলাটির এখনো চার্জশিট হয়নি, চার্জশিটের সময় নির্দোষ কোনো ব্যক্তির যেন নাম না থাকে সেটি দেখব।

এদিকে অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিনের নামে কখনো কোনো মামলা অথবা কোনো অভিযোগও হয়নি নিশ্চিত করে লালমোহন থানার সদ্য সাবেক ওসি এস এম মাহবুব উল আলম জানান, যতটুকু জানি; ঢাকার ওই হত্যা মামলায় উল্লেখ করা ঘটনার দিন তিনি লালমোহনে ছিলেন। তিনি ব্যক্তি হিসেবেও একজন ভালো মানুষ।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সুমন হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। নিরপরাধ কেউ থাকলে তারা জামিন নিতে পারেন।

এদিকে গণহারে এমন মামলায় প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারেন বলে শঙ্কা করছেন লালমোহন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম দুলাল। তিনি বলেন, ভিন্নমত পোষণ কিংবা কোনো শত্রুতা উদ্ধারের জন্য যেন কোনো মামলা না হয়, এটাই আমরা আশা করি। তবে যারা প্রকৃত অপরাধী তারা যেন শাস্তির আওতায় আসেন সেটিরও দাবি জানায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বড় আকারের ভূমিকম্প মোকাবিলা নিয়ে উদ্বেগ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

দুই দিনে টেস্ট জিতে বড় ‘বিপদে’ অস্ট্রেলিয়া

রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই যেভাবে বুঝবেন লিভার ঠিক আছে কি না

৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মিয়ানমার

বিসিবি থেকে বড় সুখবর পেলেন তাসকিন-মুস্তাফিজ

শেষ হলো জলবায়ু সম্মেলন, ফলাফল কী

শেখ হাসিনার রায় ঘিরে ছড়িয়ে পড়া ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের ছবি সরানোর নির্দেশ 

সাত পদের ৫টিতে বিএনপির জয়

ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ

গুমের মামলায় শেখ হাসিনার আইনজীবী জেড আই খান পান্না

১০

বাংলাভিশনকে হারিয়ে সেমিফাইনালে কালবেলা

১১

রূপলাল হত্যার আসামি গ্রেপ্তার

১২

আজ থেকে বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকে সরাসরি গ্রাহকসেবা 

১৩

বিপিএলে বাড়তে পারে আরও এক দল, আলোচনায় নতুন নাম

১৪

‘১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে’

১৫

নিজের চেহারা নিয়ে যা বললেন ধানুশ

১৬

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুকে গাভি উপহার

১৭

এক পদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২ পদে শিক্ষক নিয়োগ

১৮

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৯

দেবের সঙ্গে রোম্যান্সে নজর কেড়েছেন জ্যোতির্ময়ী

২০
X