ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইছামতী নদীতে গ্রাম বাংলার শত বছরের ঐতিহ্য নৌকা বাইচ আজ শনিবার (৫ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হবে। হাসনাবাদ, মৌলভীডাঙ্গি, নয়ানগর, মোলাশীকান্দা, নতুন বান্দুরা ও পুরাতন বান্দুরা গ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন : হুমকির মুখে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক
নৌকা বাইচ আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. কামাল হোসেন জানান, নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটি ও নৌকা মালিক সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় ৩৫ বছর পর আবার দেওতলা টু হাসনাবাদ পয়েন্ট নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়েছে। এবার যদি নৌকার মালিক ও দর্শক সুশৃঙ্খলভাবে বাইচ সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করে তাহলে প্রতি বছরই এই পয়েন্টে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হবে।
নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এই বাইচ কমিটি দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় যেসব স্থানে আগে নৌকা বাইচ হতো কিন্তু বর্তমানে নানা কারণে বন্ধ আছে, সেসব এলাকার আয়োজকদের বাইচ আয়োজনে উদ্বুদ্ধ করি।
আরও পড়ুন : হাজারও মানুষের পদচারণায় মুখরিত কসবার পদ্মবিল
নৌকা বাইচ আয়োজনের সমস্যা প্রসঙ্গে জানান, বাইচ আয়োজন এখন অনেক ব্যয় বহুল। দর্শকদের বিনোদন দিতে মানুষের হাতে পায়ে ধরে অর্থ কালেকশন করি। আয়োজনের দিন কখনও নৌকার মালিক সময় মতো আসে না, আবার স্টার্টিং পয়েন্টে যায় না, লটারিতে জোড়া পড়ার পর উক্ত নৌকার সঙ্গে টান দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এর মধ্যে আবার দর্শকদের বড় বড় ট্রলার (বোট), স্প্রিড বোট (গান বোট) নদীতে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া আসা করে। এমনকি বাইচের টান শুরু হওয়ার পরেও এসব নৌযান চলে। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। ঝামেলায় পড়তে হয় আয়োজকদের। এতকিছুর পরেও নৌকা বাইচ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে ও দর্শকদের বিনোদন দিতে আজ নৌকা বাইচের আয়োজন করা হবে।
নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি মাসুদ মোল্লা ও নৌকা বাইচ আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. কামাল হোসেন জানায়, বাইচে ঢাকা, মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের ১৬টি (ঘাসি ও খেলনা নৌকা) নৌক অংশ গ্রহণ করবে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ নৌকা চলে এসেছে।
মন্তব্য করুন