উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে আবারও পানি বৃদ্ধি শুরু করছে। এ ছাড়াও জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমির ফসল বীজতলাসহ রোপণকৃত ধানের চারা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন বলেন, এসব বৃষ্টির পানি দ্রুত কমে যাবে ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না।
টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে ১০ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ছিল। যা এখনো বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জেগে আছে শুধু ঘরের চাল
এদিকে ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী ও মির্জাপুর পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার, ফটিকজানী নদীর পানি নলচাপা পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর মধুপুর পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফলে ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। দিশেহারা হয়ে পড়ছে শত শত নদীপাড়ের ভাঙনকবলিত মানুষ।
আরও পড়ুন: তলিয়ে গেল ২২৮৩টি ঘর
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন জানান, কিছুদিন টাঙ্গাইলের যমুনা নদীসহ জেলার ছোটবড় সব নদ-নদীর পানি কমতে থাকলেও গত দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে নদীতে ব্যাপকহারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব বৃষ্টির পানি দ্রুত কমে যাবে বলে আশা করছি।
মন্তব্য করুন