ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে ডেঙ্গু পরীক্ষা। ডেঙ্গু কিট ‘এনএস’ না থাকায় পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে রোগীদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। অনেকে পরীক্ষা না করেই বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, শিগগিরই কিট সরবরাহের চেষ্টা চলছে।
রোগীর স্বজন মানিক ও রাবেয়া বলেন, ‘হাসপাতালে আগে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে ৫০ টাকা লাগত। এখন পরীক্ষা হয় না। বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে ৩শ থেকে ৫শ টাকা লাগে। আমাদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।’
এদিকে জেলার একটি ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল এবং ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু জনবল সংকট থাকায় তাদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্সরা।
ভোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা আক্তার বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৬১ জন রোগী আছেন। কিন্তু একা আমাকেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নার্স সংকট ও রোগীর চাপ বেশি থাকায় সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। একার পক্ষে রোগী সামলানো কষ্টকর।’
আরও পড়ুন : ভোলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু
এ বিষয় ভোলার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তায়েবুর রহমান বলেন, ‘কিট সংকট থাকায় এক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ আছে, তবে অন্যান্য ওষুধ পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। শিগগিরই ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট আসবে।’
মন্তব্য করুন