পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে প্রায় দুই যুগেরও বেশি সমায় ধরে দখল করা খাল উন্মুক্ত করেছেন বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরমোল্লা গ্রামে দারচিরা নদী সংলগ্ন ঢোষের খাল নামক খালটি কেটে উম্মুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন : ঝিনাইদহে খাল থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জেরে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালেক মুহিতের নির্দেশে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন তার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাফর মৃধাসহ স্থানীয় পানিবন্দি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দখলকৃত খাল উন্মুক্ত করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
দীর্ঘদিন ধরে খালটি দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল স্থানীয় একটি মহল। এতে বর্ষা আসলেই ফসলি জমি থেকে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হতো। ফলে কৃষি জমি চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছিল। পানিতে তলিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছিল ফসলি জমি ও পুকুরের মাছ। এমন অভিযোগের পেক্ষিতে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে খালটি কেটে উন্মুক্ত করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন খালটি দখল থাকায় হয়রানির শিকার হয়েছেন স্থানীয় জেলে ও কৃষকরা। অনেক দিন পর খালটি দখল মুক্ত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এতে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা করছেন অনেকে।
স্থানীয় কৃষক বেল্লাল মোল্লা বলেন, টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে আমাদের বীজতলা, ঘেরের মাছ। আমরা এলাকাবাসী মিলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করি। তিনি আমাদের সঙ্গে নিয়ে বাধ কেটে দেন, এতে আমরা খুশি।
একই এলাকার কৃষক জুরান গাজী জানান, আমাদের দাবি ছিল যাতে বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে পরিষদের মেম্বার, চৌকিদার মিলে আমাদের সঙ্গে নিয়ে বাধ কেটে দেয়, এতে আমরা অনেক বড় উপকৃত হয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর মৃধা বলেন, ইউএনও স্যার ও চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশ মোতাবেক জনগণ ও গ্রাম পুলিশ সঙ্গে নিয়ে খালের বাঁধ কেটে দেওয়া হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন দখলে থাকা খালটি আজকে উন্মুক্ত বা দখল মুক্ত করা হলো। এখন থেকে এই এলাকার কৃষকদের জমি আবাদ করতে আর কোনো সমস্যা হবে না। খালটি উন্মুক্ত হওয়ার ফলে হাজার মানুষের ভোগান্তির অবসান হয়েছে। ভবিষ্যতে কৃষকদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে এ রকম অভিযান অব্যহত থাকবে।
মন্তব্য করুন