কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কুয়াকাটায় ৩২৩ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ শিক্ষার্থীদের

সৈকত থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
সৈকত থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ছয় কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে প্লাস্টিক পরিষ্কার অভিযান চালিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আড়াই ঘণ্টায় ৩২৩ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেন তারা।

এসব বর্জ্যের মধ্যে ফুড প্লাস্টিক (র‍্যাপার), পলিথিন, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক প্রোডাক্ট, পানীয়র বোতল, সিগারেটের প্যাকেট, পরিত্যক্ত মাছের জাল, প্রসাধনী পণ্য, ই-বর্জ্য রয়েছে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া প্লাস্টিকের মধ্যে ছিল খাদ্যদ্রব্য-সংশ্লিষ্ট প্লাস্টিক।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই পরিষ্কার কার্যক্রম চালানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস, (সিইজিআইএস) এ আয়োজনে সহযোগিতা করে। এ ছাড়া ইয়ুথনেট বরিশাল ও এ্যানিমেল লাভারস অভ পটুয়াখালী নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও এ কাজে যুক্ত হয়।

আয়োজনে সমুদ্রসৈকতে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, পর্যটক ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়।

সাগরকন্যা নামে পরিচিত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে রয়েছে বিপন্ন প্রজাতির নানান প্রাণী। আছে সংকটাপন্ন প্রাণীরও। এ ছাড়া সমুদ্রসৈকতজুড়ে আছে বিচিত্র প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণীর বসবাস। কিন্তু এই জীববৈচিত্র্যের বড় একটি অংশ হারিয়ে গেছে কুয়াকাটা থেকে। ক্রমবর্ধমান মানুষের আনাগোনা, অসচেতনভাবে পর্যটকদের আনাগোনা আর দূষণে জর্জরিত কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করছে প্লাস্টিকের দূষণ। বিশেষ করে গঙ্গামতির চর, সমুদ্রসৈকতের জিরো পয়েন্ট ও কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের সম্মুখ দিক দূষণে বেশি আক্রান্ত।

কুয়াকাটায় প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা নিরূপণ এবং মানুষের মনে জনসচেতনতা তৈরিতে পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ করতে দক্ষিণাঞ্চলে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে। এর অংশ হিসেবেই কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পরিষ্কার অভিয়ান চালানো হয়। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সহকারী একান্ত সচিব এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদ, আশিকুর রহমান সমীর নেতৃত্বে পরিচালিত এ কার্যক্রমের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন মো. জুবায়ের, আব্দুল হালিম মির্জা, দিপ্ত বিশ্বাস, মো. রাকিব হাসান, মো. নূর উদ্দীন, মো. রাজিব মিয়া।

আয়োজনে সমুদ্রসৈকতে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, পর্যটক সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমাবেশের ঘোষণা শ্রমিক দলের

সহস্রাধিক প্রকৌশলী বেকার হওয়ার আশঙ্কা এআইওবির

পাকিস্তানি ডন পত্রিকার সম্পাদকীয় / ভিন্নমতের মুখ বন্ধে ভারতের তথ্য যুদ্ধ

‘ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে’

মুক্তবাণিজ্য এলাকা স্থাপনে জাতীয় কমিটি গঠন

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১০

বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

৮ জেলায় বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা

জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে : নাহিদ 

১০

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন / ভারতকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে কাশ্মীর হামলায় পাকিস্তান জড়িত

১১

অন্তর্বর্তী সরকারকে ইসলামী আন্দোলনের আমিরের হুঁশিয়ারি

১২

ভারতে কোচিং সেন্টারে বোমা হামলা

১৩

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় আটক ১

১৪

১৪ পুলিশ সুপারের বদলি

১৫

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

১৬

এনবিআরে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক

১৭

নাগরিকদের বড় সুখবর দিল সরকার

১৮

‘পিপিপি ডিভিশনাল কনফারেন্স চট্টগ্রাম ২০২৫’ অনুষ্ঠিত

১৯

৫ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার 

২০
X