রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় প্রথমবারের মতো পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ‘ওরেশনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুশীলন করতে যাচ্ছে বেলারুশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ন্যাটোর পূর্ব সীমান্তের কাছে অনুষ্ঠিতব্য ‘জাপাদ-২০২৫’ মহড়ায় এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে মস্কোর ওপর নির্ভরশীল। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সময় দেশটি নিজেদের ভূখণ্ড রুশ সেনাদের ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল।
পোল্যান্ড, ইউক্রেন ও বাল্টিক দেশগুলো বারবার বেলারুশে সামরিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে রাশিয়া জানিয়েছে, বছরের শেষ নাগাদ বেলারুশে ‘ওরেশনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা হবে।
বেলারুশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, রুশ সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা পশ্চিম ও উত্তর সীমান্তের পরিস্থিতি দেখছি। বসে থেকে সামরিকীকরণ ও কার্যকলাপ দেখতে পারি না।
রাশিয়ার নতুন মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে গত বছরের শেষ দিকে পরীক্ষামূলক হামলার মাধ্যমে প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এটি শব্দের গতির চেয়ে প্রায় ১০ গুণ দ্রুত, যা রাডারের পক্ষে শনাক্ত করা কঠিন। ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা আনুমানিক ২,৫০০–৩,০০০ কিলোমিটার হলেও কিছু অনুমান অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে, ফলে প্রায় গোটা ইউরোপ এর আওতায় পড়ে। এতে একাধিক স্বতন্ত্রভাবে নিয়ন্ত্রিত ওয়ারহেড থাকে, প্রতিটিতে একাধিক সাব-মিউনিশনসহ, যা একসঙ্গে নিশানায় পৌঁছায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি উন্নত ইস্কান্দার বা ছোট আকারের ইয়ারস-এম আইসিবিএম-এর সংস্করণ হতে পারে। পারমাণবিক ওয়ারহেড ছাড়াও এটি গভীর ভূগর্ভস্থ স্থাপনা ধ্বংসে সক্ষম এবং আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে পারবে বলে রুশ দাবি।
মন্তব্য করুন